প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধর্না মঞ্চ খুলে ফেলার পরেই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অসম্মান করেছিলেন। আর সেই অভিযোগ তুলেই আজ হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে সেই মেয়ো রোডেই ধর্নায় বসে ছিলেন প্রাক্তন সেনা কর্মীরা। যেখানে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই সেনাবাহিনীর জন্য বলার কারণেই তাকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল বলে আরও একবার বিগত দিনের ইতিহাস তুলে ধরলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সর্বশেষ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে যেভাবে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছিলেন, তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি সাসপেন্ড হয়েছেন এবং তাতে তিনি গর্বিত বলে জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

প্রসঙ্গত, এদিন প্রাক্তন সেনা কর্মীদের মেয়ো রোডে যে ধর্না, তাতে অংশ নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই কিছুদিন আগে রাজ্য বিধানসভায় ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশের একাত্তরের সময় সেনার ভূমিকার সঙ্গে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ খুলে নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেনা বাহিনীর তুলনা করায় ব্রাত্য বসুর মন্তব্যে তিনি বিধানসভায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর প্রতি অপমানের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বিধানসভায় গর্জে উঠেছিলেন। আর সেই কারণেই তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সেই কথা এদিনের মঞ্চে উল্লেখ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে বিধানসভা থেকে তিনি সাসপেন্ড হলেও, সেনাবাহিনীর জন্য কথা বলার কারণে তিনি সাসপেন্ড হয়ে অত্যন্ত গর্বিত বলেও জানিয়ে দেন শুভেন্দুবাবু। পাশাপাশি এই রাজ্যের সরকার কতটা সেনাবাহিনীকে সম্মান করে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন তিনি।

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “১ সেপ্টেম্বর এখানে অবৈধ স্ট্রাকচার ভাঙ্গা এবং তার সঙ্গে ৭১ এরর বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অপারেশনের তুলনা করেছিলেন বিধানসভায়। এর নাম ব্রাত্য বসু নয়, এর নাম ভৃত্য বসু। আমি প্রতিবাদ করেছি। আর আমি গর্বিত, আমাকে বিধানসভা থেকে খালা মমতা ব্যানার্জি এর জন্য সাসপেন্ড করেছে। আর্মির জন্য বলতে গিয়ে, লড়তে গিয়ে, সাসপেন্ড হয়ে আমি গর্বিত আমি ভারতীয়।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন যে, তৃণমূল সরকার এবং তাদের নেতা-মন্ত্রীরা কতটা দেশবিরোধী। তারা প্রতিমুহূর্তে বিধানসভার ভেতরে হোক বা বাইরে, দেশের সেনাবাহিনীকে অসম্মান করে। আর যখনই তিনি তার প্রতিবাদ করেন, তখনই তার কণ্ঠরোধ করতে তাকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। তবে দেশের সেনাবাহিনীর হয়ে বলতে গিয়ে তিনি যদি সাসপেন্ড হন, তাতে তার বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ নেই। বরঞ্চ তাতে তিনি আরও বেশি করে গর্বিত বলে প্রাক্তন সেনা কর্মীদের মঞ্চে নিজের অভিব্যক্তির কথা তুলে ধরে দেশপ্রেমীদের মন আরও বেশি করে জয় করে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।