প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দলের ভোট চুরি এবং অবৈধ ভোট দেওয়া আটকানোর ক্ষেত্রে যা যা করা প্রয়োজন, তার সবটাই করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেশের নির্বাচন কমিশনকে উপযুক্ত প্রমাণ সহকারে বিভিন্ন তথ্য পাঠাতে শুরু করেছেন তিনি। একদিকে এসআইআরের ফলে তৃণমূলের মাথার ঠিক নেই। আর তার মধ্যে শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই ত্রুটি দেছেন, যেখানেই গলদ দেখছেন, সেই বিষয়েই নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আর নির্বাচন কমিশনও সাথে সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আর তাতেই কি তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে তৃণমূল বাহিনী? এমনিতেই তো শুভেন্দু অধিকারী তাদের সবথেকে বড় অস্বস্তির কারণ। তবে সম্প্রতি এসআইআরের কাজে বিএসকে সহ যারা কন্ট্রাকচুয়াল কর্মী তাদের নিয়োগ করা যাবে না বলে একটি নির্দেশিকা দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীও বারবার এই কথা তুলে ধরেছেন। আর বিএসকেদের একটা অংশকে দিয়ে অবৈধভাবে ভুয়ো ভোটারদের নাম তোলানোর যে কারসাজি, তা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণেই কি খুব রেগে গিয়েছেন তোলামূল বাহিনীর নেতারা? এই প্রশ্নটা উঠছে, তার কারণ, আজ কিছুক্ষণ আগেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের বিস্ফোরক কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। আর সেখানেই যে চ্যাট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, তা কার্যত চমকে দেওয়ার মত।

এমনিতেই এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শাসকের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তবে কিছুক্ষণ আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তিনি। আর সেখানে যে মারাত্মক চ্যাট এক ব্যক্তি করেছেন বলে উঠে আসছে, তাতে তো শুভেন্দু অধিকারীর প্রাণ সংশয় হওয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। অন্তত এই চ্যাট যদি সত্যি হয়, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে শেষ করে দেওয়ার জন্য যে একটা অংশ উঠে পড়ে লেগেছে, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। যে ব্যক্তি শুভেন্দু অধিকারীকে খন্ড খন্ড করে কুপিয়ে ফেলার নিদান দিয়েছেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে, তার প্রধান রাগের কারণ যে, শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচন কমিশনের কাছে এই কন্ট্রাকচুয়াল বা বিএসকে কর্মীদের দিয়ে যে এসআইআরের কাজ করানো যাবে না, সেই ব্যাপারে তার দাবি তুলে ধরেছিলেন। আর নির্বাচন কমিশনও বিএসকে কর্মী বা কনট্রাকচুয়াল কর্মীদের দিয়ে এসআইআরের কাজ না করানোর ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছেন। আর তার ফলে কতটা ক্ষেপেছে তৃণমূল বাহিনী, তা আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি করছে বিজেপি।

সূত্রের খবর, এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের চ্যাট প্রকাশ্যে আনেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে একজন ব্যক্তি লিখছেন, “শুভেন্দু অধিকারী তুই আমাদের ধরে টানাটানি করছিস কেন? ওকে ধর সবাই মিলে। দা দিয়ে কুপিয়ে খন্ড খন্ড করতে হবে….।” এছাড়াও এই বাক্যের মধ্যে এমন কিছু শব্দবন্ধনী আছে, যা হয়ত এভাবে ব্যাখ্যা করা উচিত নয়। আর যিনি এই পোস্ট করেছেন, তার পরিচয় হিসেবে শুভেন্দুবাবু উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বিএসকে ইউনিটের সহ-সভাপতি, যার নাম নুর ইসলাম মোল্লা বলে দাবি করেছেন। এমনকি তার ফোন নম্বরও পোস্ট করেছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী আসল জায়গায় ধাক্কা দিতে সক্ষম হয়েছেন। আর তার ফলেই গোটা তৃণমূল পরিবার এবং তাদের ঘনিষ্ঠরা রীতিমত ছটফটানি শুরু করেছে। যার ফলে এবার শুভেন্দু অধিকারীকে শেষ করে দেওয়ার একটা গোপন চক্রান্ত এই রকম হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মধ্যে দিয়ে চলছে। তবে এবার সেই পর্দাও ফাঁস করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।