প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত বছরের জুলাই-অগস্টে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা জঙ্গি আন্দোলনের কৌশলেই এবার সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে হটাতে রক্তক্ষয়ী ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছেন মোল্লা মুহাম্মদ ইউনূস। ২২ মে রাতে পাক এজেন্ট নাহিদ ইসলাম, নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি, সারজিস আলম ও আবদুল হাসনাতের সঙ্গে তিন ঘণ্টার বৈঠকে এই পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন তিনি। বৈঠকে ইউনূস বলেন, “সময় এসেছে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতিকে সরানোর। শেখ হাসিনাকে হটানোর পথেই হাঁটতে হবে আবার।” পাটোয়ারি জবাবে জামায়াত, হিযবুত তাহরীর ও আনসারুল্লাহর শীর্ষ নেতৃত্বকে রাস্তায় নামাতে বলার প্রস্তাব দেন।
এদিকে, আমেরিকার সঙ্গে চুক্তিতে চট্টগ্রাম বন্দর তুলে দেওয়া, আরাকান আর্মিকে অস্ত্র সরবরাহের ‘মানবিক করিডর’ নিয়ে সরকারের সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের তীব্র মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান এর বিরোধিতা করায় সরকারের পরিকল্পনা থমকে গেছে। এর ফলে ইউনূসের দেশবিক্রির ষড়যন্ত্র ভেস্তে যায়। বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী দলগুলি প্রকাশ্যে সেনাপ্রধানের পাশে দাঁড়ানোয় ইউনূস ব্যর্থতা বুঝে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
পরবর্তীতে ইউনূস সেনাবাহিনীতে থাকা পাকপন্থী জেনারেলদের দিয়ে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন, যা ব্যর্থ হয়। এরপর সেনাপ্রধানকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ‘এজেন্ট’ বলে অভিহিত করে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন। ইউনূস বলেন, “হয় আমি থাকব, না হলে শেখ মুজিবের আত্মীয় সেনাপ্রধান থাকবে না।”
এই ষড়যন্ত্র প্রকাশ পেতেই সেনা সদর দফতর ৫ অগস্টের পর আশ্রয় নেওয়া ৬২৬ জন রাজনৈতিক, বিচারপতি ও পুলিশ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করে। পরদিন ‘যমুনা’য় জরুরি বৈঠকে ইউনূস সিদ্ধান্ত নেন, সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে চরিত্রহননের প্রচার চালানো হবে। মৌলবাদী জওয়ানদের উসকে দিয়ে, ঈদের সময়ে আলেমদের পথে নামিয়ে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। দাবি উঠবে সেনা ব্যারাকে ফেরানো ও ‘হাসিনা জমানার’ সেনা অপরাধীদের বিচার।