প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি কলকাতায় যে জলমগ্ন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তার ফলে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এতগুলো সহ নাগরিকের মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারছেন না। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আবার বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থা সিইএসকে দায়ী করেছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করে করা হয়েছে। এমনকি সিইএসসিও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। তবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাকে দায়ী করলে,ও কেন তার সরকার এবং কলকাতা পৌরসভার কোনো দায় থাকবে না? কেন রক্ষণাবেক্ষণ হবে না খোলা তারগুলোর, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তা নিয়ে তাকে পাল্টা খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

গোটা রাজ্যজুড়ে বিরোধীরা কলকাতার সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করছেন। সকলের একটাই বক্তব্য যে, রাজ্য প্রশাসন কেন বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থার ঘাড়ে দায় চাপাচ্ছে? তাদেরও তো কিছু দায়িত্ব আছে। অনেক রাজ্যেই তো দুর্যোগ হয়। কিন্তু দুর্যোগের পরে তো এতগুলো মানুষের মৃত্যু ঘটে না। যা পশ্চিমবঙ্গে ঘটছে! তাহলে এই রাজ্যের প্রশাসন এবং কলকাতা পৌরসভার ব্যর্থতার জন্যই তো এতগুলো মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে! আর বিরোধীদের সেই সমস্ত দাবির মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে আরও চাপে ফেলে দিলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি।

এদিন বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে কলকাতায় এত মানুষের মৃত্যু এবং তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সিইএসসিকে দোষারোপ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “প্রত্যেকবার বৃষ্টি হবে, বন্যা হবে। আর কলকাতায় লোক মারা যাবে! গ্রামের লোকেরা তো বেঁচে আছে। কলকাতায় লোক মারা যাচ্ছে কেন? উনি সিইএসসিকে বললেন ৫ লক্ষ টাকা দিতে। উনি তো কোটি কোটি টাকা নিচ্ছেন সিইএসসির কাছ থেকে। কেন পোস্টগুলো ঠিক হয় না? আর সব দোষ সিইএসসির! সরকারের কোনো দায় নেই! লোকগুলো মারা যাচ্ছে। জলমন্ত্রীর দোষ হওয়া উচিত, বিদ্যুৎমন্ত্রীর দোষ হওয়া উচিত। ডিভিসির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। বলছেন যে, বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে নাকি জল চলে এসেছে! উনি খালি টাকার জন্য বলবেন। সকাল থেকে খালি বলবেন, টাকা দিচ্ছে না। আর কোনো দায় নেই! পশ্চিমবাংলার মানুষ কার ভরসায় বেঁচে আছে? এভাবে 15 বছর কাটিয়েছেন। আর চলতে পারে না।”