Big breaking আইন কলেজে গণধর্ষণে ঘুম উড়লো শাসকের! রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় তথ্য ফাঁস করলেন শুভেন্দু!
প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে এখনও এক বছর পূরণ হয়নি, আরজিকরের ঘটনার। কিন্তু তার মধ্যেই এবার শিক্ষাঙ্গনে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে উঠতে শুরু করে দিলো প্রশ্ন। যেখানে সাউথ ক্যালকাটার ল কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মনোজিৎ মিশ্র নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ওই প্রাক্তন নেতা শাসক দলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এমনকি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ঘাঁটলেও তার সঙ্গে তৃণমূলের অনেক দাপুটে নেতার ছবি সামনে আসছে বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে গোটা রাজ্য যখন এই আইন কলেজের ভেতরে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল, ঠিক তখনই তড়িঘড়ি সোশ্যাল মিডিয়ায় বড় তথ্য ফাঁস করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, এই রাজ্যে নারী নিরাপত্তা কোথায়? আরজিকরের ঘটনায় সরকারি মেডিকেল কলেজের ভেতরে একজন চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর এই রাজ্যের শাসক দল বহু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, এরকম আর কোনো ঘটনা ঘটবে না। কিন্তু তারপর একদম আইন কলেজের ভেতরে রক্ষকই যদি ভক্ষকের মত আচরণ করে, তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতাই যদি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হন, তাহলে সরাসরি তো এই রাজ্যের শাসক দলের দিকেই প্রশ্ন তুলবে বিরোধীরা। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অপরাধের সাম্রাজ্য নিয়ে বড় পোস্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি লেখেন, “অপরাধের সাম্রাজ্যে এমনি এমনি স্থাপিত হয়নি। বিভিন্ন কুকীর্তি বাজদের সান্নিধ্যে ফুলে ফেপে বড় হয়েছে।” অর্থাৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের যে প্রাক্তন নেতা মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তার মাথায় অনেকের আশীর্বাদের হাত রয়েছে বলেই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর বিরোধী দলনেতার এই পোষ্টের পরেই আরও বেশি করে চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। মনোজিৎ মিশ্রের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে হাতিয়ার করে সেখান থেকে যে সমস্ত ছবি উঠে আসছে, তা নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করে বলছেন যে, এই মনোজিৎ মিশ্র তৃণমূলের অনেক বড় বড় নেতার ঘনিষ্ঠ। ফলে নিজেকে সর্বেসর্বা ভেবে ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে যেভাবে এক মেয়ের সম্ভ্রম এই শাসক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি নষ্ট করলেন, তাতে তার দায় তৃণমূল কংগ্রেসকেই নিতে হবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।