প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর চাকরিহারারা রীতিমত হতাশ হয়ে গিয়েছিলেন। বারবার করে বিরোধীরা দাবি করেছিল, যোগ্য এবং অযোগ্য এই তালিকা আলাদা করে দিলেই আজকে এই সমস্যা হত না। এক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যারা চিহ্নিত অযোগ্য, তাদের যেমন বেতন ফেরত দিতে হবে, ঠিক তেমনই তারা নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে পারবেন না। তবে সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় অযোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা। আর এবার তাদের ক্ষেত্রে বড় নির্দেশ দিলো শীর্ষ আদালত।
সূত্রের খবর, এদিন অযোগ্য চাকরিহারাদের আবেদন সংক্রান্ত যে মামলা, সেই মামলা সুপ্রিম কোর্টের খারিজ হয়ে যায়। যেখানে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, গত ৩ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে, তাতে আর কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করা হবে না। পাশাপাশি অযোগ্যদের বিষয়টি উপস্থাপিত করতে গিয়ে তাদের আইনজীবী বিভিন্ন যুক্তি দিলেও, তা কার্যত খণ্ডন হয়ে যায় সুপ্রিম কোর্টে। যেখানে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, “আমরা যোগ্যদের শিক্ষকতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ দিয়েছি। আপনাদের জন্য নয়।” অর্থাৎ চিহ্নিত অযোগ্যরা বহু চেষ্টা করেও তাদের যুক্তি সুপ্রিম কোর্টের কাছে টেকসই করতে পারলেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ অত্যন্ত স্বাগত জানানোর মত। যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা আজকে আন্দোলনে বসে রয়েছেন, কারণ অযোগ্যদের জন্য তাদের চাকরি চলে গিয়েছে। ফলে এই অযোগ্যদের আগে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া এবং তারা যাতে আর এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বসতে না পারে, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। তবে আদালতের পক্ষ থেকে সেই বিষয়টি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়ার পরেও অযোগ্যরা আবার আদালতে গিয়ে ভেবেছিল যে, তাদের বিষয়ে হয়ত নতুন করে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু না, এদিনের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অযোগ্য চাকরি হারাদের মাথায় যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো। যার ফলে শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছে গোটা রাজ্যবাসী।