প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন এবং তৃণমূল মিলে টার্গেট করেছে বিজেপিকে শেষ করে দেওয়ার। তাই বেছে বেছে বিভিন্নভাবে বিজেপি নেতারা যারা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি নবান্ন অভিযান হয়েছে অভয়ার বিচারের দাবিতে। আর সেই ঘটনায় পুলিশ যে বর্বরতা দেখিয়েছে, তা সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে। তবে যেভাবে সেই নবান্ন অভিযানের ঘটনায় একের পর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তাতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করাই কি একমাত্র কাজ প্রশাসনের?
বলা বাহুল্য, গত ৯ আগস্ট অভয়ার মা-বাবার ডাকে নবান্ন অভিযান হয়েছিল। যেখানে পুলিশের লাঠির আঘাতে অভয়ার মা পর্যন্ত আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে অভিযোগ। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার নবান্ন অভিযানে একের পর এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা চন্দন গুপ্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর এবার নৈহাটির ২ নম্বর মন্ডল বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মানস চন্দ্র সাহাকেও এই নবান্ন অভিযানের ঘটনায় গ্রেফতার করলো পুলিশ।
ঠিক কি অভিযোগ রয়েছে গ্রেফতার হওয়া এই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে? জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে পুলিশ। যেখানে এক পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের। আর তার ভিত্তিতেই বিজেপি নেতা মানস চন্দ্র সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, যেভাবেই হোক, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে হবে, তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করতে হবে। আর সেই কারণেই নবান্ন অভিযানে বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের গ্রেপ্তার করার কৌশল শুরু হয়ে গেল। তবে এসব করে তৃণমূলের দলদাস পুলিশ বিজেপিকে আটকাতে পারবে না। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এই ফ্যাসিস্ট নীতির বিরুদ্ধে মানুষ তৃনমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলে দেবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।