প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে কে বেশি বাংলা প্রেমী, তা প্রমাণের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক থেকে বিরোধী দুই পক্ষই। ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ও বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে বিজেপি বাংলা বিরোধী বলে প্রমাণ করার মরিয়া চেষ্টা করছেন। যদিও বা বিজেপির দাবি, মুখ্যমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছেন। তাই তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার ভয়ে তিনি বাংলাকে সর্বনাশের মুখে ফেলতেই বাংলার মানুষের ভোট পাওয়ার জন্য এই ধরনের দরদ দেখাচ্ছেন। আর এই অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ দুর্গাপুজোয় সামিল হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। যদিও বা ব্যানারে লেখা রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চ। তবে এবার সেই দুর্গাপুজোর খুঁটি পুজোতেই সামিল হলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় মিছিল করে বাংলা ও বাঙালিকে হেনস্থা করার অভিযোগ তুলেছেন। তার বক্তব্য, বিজেপি শাসিত রাজ্যে সব থেকে বেশি বাঙালি বলে মারধর করা হচ্ছে। তবে এই পরিস্থিতিতে গতকাল ইজেডসিসিতে দুর্গাপুজোর জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে খুঁটি পুজো করা হয়। পশ্চিমবঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের ব্যানারে এই খুঁটি পূজার আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রুদ্রনীল ঘোষ, রুপা গাঙ্গুলি সহ অন্যান্যরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপির এই পদক্ষেপ অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার করে বাংলা ও বাঙালিকে বিজেপি সহ্য করতে পারে না বলে অভিযোগ করছেন, তাকেই পাল্টা এই দুর্গাপুজোর মধ্যে দিয়ে জবাব দিতে চাইছে গেরুয়া শিবির। আর সেই কারণেই ইজেডসিসিতে এবার আবার তারা বিধানসভা ভোটের আগে দুর্গাপুজায় শামিল হচ্ছেন। যা বাঙালি অস্মিতায় শান দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।