প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সকাল থেকেই বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, এসআইআরের বিরোধিতা করে বিএলওদের সুরক্ষার দাবিতে পথে নামছে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটি নামে সদ্য গজিয়ে ওঠা একটি কমিটি। কারা এর পেছনে রয়েছে, কি তাদের উদ্দেশ্য, সেই সম্পর্কে বহু চর্চা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তারা মিছিল করে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বলেও খবর। তবে প্রথম থেকেই একটা প্রশ্ন ছিল যে, এসআইআর প্রক্রিয়া যখন প্রায় শেষের পথে, তখন তৃণমূলের সুরের সঙ্গেই সুর মিলিয়ে বিএলওদের মানসিক চাপের কারণে তাদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে, এরকম বক্তব্যকে সামনে এনে এই বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির এই কর্মসূচির পেছনে কি অন্য কোনো মাথা রয়েছে? বিরোধীরা দাবি করেছিলেন, কমিটির একটা নাম দেওয়া হলেও, পেছনে পুরোটাই তৃণমূলের গেম প্ল্যান। তাদের নেতা-নেত্রীরাই এই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। আর মন্দিরবাজারের সভার পর সেই বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে যারা কলকাতায় মিছিল করেছেন এবং এসআইআরের বিরোধিতা করে তা বন্ধ করার দাবিতে বিএলওদের সুরক্ষার কথা তুলে ধরে এত বেশি গলা ফাটিয়েছেন, তারা ঠিক কারা, সেই তথ্য সামনে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

আজ সকাল থেকেই খবরের শিরোনামে ছিলো, বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে একটি মঞ্চের প্রতিবাদে নামার কর্মসূচি। বিভিন্ন খবরের চ্যানেল ফলাও করে সেটা দেখিয়েছিল। তবে তখনই বিরোধীরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন যে, এর পেছনে কাদের হাত রয়েছে। মুখ আর মুখোশ যে আলাদা, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বিরোধী নেতাদের কাছে। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের নেতা নেত্রীরা ক্রমাগত এসআইআরের বিরোধিতা করে যাচ্ছেন। আর সেই একই সুরে সুর মিলিয়ে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে একটি মঞ্চ তৈরি করে বিএলওদের সুরক্ষার কথা তুলে ধরে যারা নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, তাদের সিংহভাগই যে তৃণমূলের নেতা নেত্রী, সেই ব্যাপারে সন্দেহ ছিল না রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের। আর এবার সরাসরি সেই কর্মসূচি যে তৃণমূলের কর্মসূচি এবং বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে যারা রাস্তায় নেমেছিলেন, সেখানে যে কোনো বিএলওদের খুঁজে পাওয়া যায়নি, তা স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিন কলকাতায় বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে যে মিছিল হয়েছে, সেই বিষয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একটা মিছিল কলকাতায় করেছিল, পেছন থেকে তৃণমূল থেকে। সেই মিছিলে অনেক চ্যানেলই বিএলও খুঁজে পায়নি। এগুলো কেউই বিএলও নেই। মিছিলে কোনো বিএলও ছিলেন না। অবৈধ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারী তাদের পাঠিয়ে এই মিছিল হয়েছে।”