প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের আতঙ্কে যে এমনি এমনি ছটফটানি করছে, তা কিন্তু নয়। এর পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আর তার প্রধান কারণ, তাদের অবৈধ ভোটব্যাংক। এতদিন অনেক বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ কারীরা এই রাজ্যের ভোটার হয়েছিলেন। এসআইআর হলে তাদের নাম বাদ যাওয়ার আতঙ্কেই তৃণমূল এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে বলেই দাবি করতে শুরু করেছিল বিজেপি। আর এবার নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বংশীহারী থানায় দুজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে বারবার করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার পরেও যখন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এই রাজ্যের পুলিশ তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তথ্য প্রমাণ দিয়ে গর্জে উঠলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
প্রসঙ্গত, এসআইআর চালু হওয়ার পর থেকেই এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস তার প্রবল বিরোধীতা করছে। পাল্টা বিজেপি দাবি করছে যে, এসআইআর হলে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ যাবে। আর তার আতঙ্কেই তৃণমূলের এত বিরোধিতা। আর এসবের মধ্যেই আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় বংশীহারী থানায় দুজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ কারীর বিরুদ্ধে বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তিনি লেখেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্তর্গত বংশীহারী থানায় দুইজন বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে বারবার লিখিত অভিযোগ পত্র দেওয়া সত্ত্বেও রাজ্য পুলিশের তরফে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না! অভিযোগকারী ব্যক্তি যথেষ্ট প্রামাণ্য নথি (অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাংলাদেশের সচিত্র পরিচয় পত্র? দিলেও পুলিশের অবস্থান একেবারে নির্বিকার. কারণে একটাই, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কড়া নির্দেশ, কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশকারীর বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা চুলোয় গেলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়োজন স্রেফ অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ভোট! কারণ এরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় ভোটব্যাঙ্ক।”