প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূলের মধ্যে এমন কিছু নেতা আছেন, যাদের বাঘে গরুতে কার্যত এক ঘাটে জল খায়। যাদের জন্য সাধারণ মানুষ কথা বলতে পারে না, তারা ভয়ে সেটিয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় তেমনটাই অভিযোগ করে বিরোধীরা। যার মধ্যে বিরোধীদের তালিকায় রয়েছে জাহাঙ্গীর থেকে শুরু করে শওকত মোল্লাদের মত নেতাদের নাম। কিন্তু এবার চিরদিন যেমন কারও সমান যায় না, ঠিক তেমনভাবেই সেই প্রবাদ প্রবচনকে সত্যি করে যে শওকত মোল্লার দাপটে সকলে মুখ বন্ধ করে থাকত, সেই শওকত মোল্লার বিরুদ্ধেই রীতিমত বিক্ষোভ করে জনতা বুঝিয়ে দিলো যে, এবার দাদাগিরির দিন শেষ হতে চলেছে। কি ঘটনা ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, এদিন ভাঙ্গড়ে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। কিন্তু হঠাৎ কেন তাকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো? তৃণমূলের নেতারা তো প্রত্যেক সময় দাবি করে যে, তারা মানুষের প্রত্যেকটি কাজে সমাধান করে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও মানুষ কেন শওকত মোল্লার মত নেতাকে আজকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন? জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার বাড়ি না পাওয়ার কারণেই এই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে শওকত মোল্লার মত দাপুটে তৃণমূল বিধায়ককে। ইতিমধ্যেই এলাকাবাসী “দিদিকে বলো” নম্বরে ফোন করে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু তারপরেও সেই সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এবং তারা বাড়ি না পাওয়ায় আর ক্ষোভ আটকে রাখতে পারেননি। তাই এবার তৃণমূল বিধায়ককে বিক্ষোভ দেখালেন তারা।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, শওকত মোল্লাদের মত নেতারা এতদিন মানুষকে ভয় দেখিয়েছেন। কিন্তু এবার খেলা ঘুরতে শুরু করেছে। গুন্ডাগিরি করে, দাদাগিরি করে, মানুষের ওপর অত্যাচার করে যে আর মানুষের মুখ বন্ধ রাখা যাবে না, তা এই ঘটনার মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। রাজ্যের মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছেন। তাই এবার শওকত মোল্লাদের মত নেতাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের এই প্রতিবাদ। আগামী দিনে নবান্ন পর্যন্ত এই প্রতিবাদ যাবে এবং তৃণমূলের সরকার উৎখাত হবে বলেই দাবি করছেন তারা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধীরা প্রত্যেকটি সময় বলে যে, তৃণমূলের কিছু নেতা আছেন, যাদেরকে তৃণমূল ভোটের সময় কাজে লাগায় এবং তাদের গুন্ডাগিরি মনোভাবকে সামনে দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ সেই সমস্ত দাদাগিরি করা নেতাদেরও আর পরোয়া করছেন না। শওকত মোল্লাকে যেভাবে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলো, তাতে কিন্তু তৃণমূলকে এবার যথেষ্ট ভাবে গোটা বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। এতদিন তৃণমূলের বিভিন্ন অত্যাচার, অনাচার মানুষ মুখ বন্ধ করে সহ্য করে নিচ্ছিলেন। কারণ পুলিশ এবং শাসক দলের হয়ে কিছু দাদাগিরি করা নেতাদের ভয়ের জন্য। তবে এবার আর মানুষ যে কোনো কিছুরই ভয় পাচ্ছেন না, তারা যে এবার প্রতিবাদটাকেই বেছে নিয়েছেন তৃণমূলের এই অনাচারের বিরুদ্ধে, তা বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে দাদাগিরি করার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে ঘিরে জনতার বিক্ষোভের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। যার ফলে তৃণমূলের মধ্যে দিশেহারা মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।