প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বেশ কিছুদিন ধরেই তার শারীরিক সমস্যা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তার অনুগামী থেকে শুরু করে বিজেপি নেতৃত্বরা। অবশেষে দিল্লির এই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলী। কিন্তু দীর্ঘদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ঠিকই। তবে এখনই বাংলায় ফিরছেন না তমলুকের এই বিজেপি সাংসদ। তবে যখন হাসপাতাল থেকে ছাড়াই পেয়ে গিয়েছেন তখন রাজ্যে ফিরতে সমস্যা কোথায়? তাহলে কি তার শারীরিক পরিস্থিতি এখনও পুরোটা ঠিক হয়নি? কেন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও তিনি কলকাতায় আসছেন না? এই সমস্ত প্রশ্নের মাঝেই সামনে এলো বড় আপডেট।

বলা বাহুল্য, বেশ কিছুদিন আগে অগ্নাশয়ের সমস্যার কারণে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে। পরবর্তীতে তাকে দিল্লির এই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানেই শুরু হয় চিকিৎসা। কিছুদিন আগেই তার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নিতে দিল্লিতে গিয়ে হাসপাতালে তার সঙ্গে দেখা করে এসেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুবাবু অভিজিৎবাবুর সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, বর্তমানে তিনি অনেকটাই ভালো আছেন। তবে কবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন এই বিজেপি সাংসদ, তার অপেক্ষায় ছিলেন তার অনুগামীরা। অবশেষে গতকাল রাতে তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়েছে। তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ রয়েছে যে, এখনই তিনি কলকাতায় ফিরতে পারবেন না। আপাতত বেশ কিছুদিন তাকে এখানেই বিশ্রামে থাকতে হবে।

অনেকেই বলছেন, কলকাতা হাসপাতালে অভিজিৎ গাঙ্গুলী চিকিৎসাধীন থাকার সময় বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছিল। এই হাসপাতালে তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না বলে তার অনেক অনুগামীরা অভিযোগ করেছিলেন এবং এখানে থাকলে তার শারীরিক সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে তাকে দিল্লিতে এই হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। অবশেষে তিনি হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ায় খুশি তার অনুগামী থেকে শুরু করে দলের সকলেই। কিন্তু কিছুটা সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও পুরোপুরি সুস্থ নন এই বিজেপি সাংসদ। তাই এখনই তাকে কলকাতায় ফেরার ব্যাপারে অনুমতি দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেই তিনি রাজ্যে ফিরতে পারবেন। তাই প্রতিনিয়ত শাসকের ঘুম ছুটিয়ে দেওয়া বিজেপির এই হেভিওয়েট সাংসদ পাকাপাকিভাবে সুস্থ হয়ে দিল্লি থেকে কবে রাজ্যে ফেরেন এবং কবে থেকে আবার জোরকদমে রাজনীতির ময়দানে ঝাপান, তার অপেক্ষাতেই রয়েছে দল থেকে শুরু করে অনুগামীরা।