প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খুব ভালো মতোই বুঝতে পেরেছেন যে, গোটা দেশের কাছে তার দুর্নীতি ধরা পড়ে গিয়েছে। তার সরকার যেভাবে চাকরি চুরি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে দুর্নীতি করেছে, তা নিয়ে আজ রাজ্যে এসে তৃণমূলের মুখোশ খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তৃণমূলের দুর্নীতি যখন ধরা পড়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কি করে পরিস্থিতিকে ঘোরানো যায়, তার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা বাহুল্য, এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে গর্জে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করেন তিনি বুঝিয়ে দেন যে, এই সরকারের যে সমস্ত কাজকর্ম, তার বিরুদ্ধে এবার রায় দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। আর তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির কথা প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে উঠে আসায় রীতিমত বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পাল্টা বলে ফেললেন বড়সড় কথা।

এদিন আলিপুরদুয়ারে প্রধানমন্ত্রীর সভার পাল্টা নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আগে নিজের দোষ দেখুন। আপনাদের দুর্নীতি অনেক বেশি। কোনো কিছুতে দুর্নীতি ধরা পড়লে সরকারকে পদক্ষেপ করতে হয়। কিন্তু যখন আপনার গুজরাটে, মধ্যপ্রদেশে পাকিস্তানের চরবৃত্তি করার জন্য কেউ ধরা পড়েন, তখন আপনারা কি করেন?”

বিজেপির দাবি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যেভাবে বাংলার মানুষের সামনে বাংলার দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি যে অবহিত, তিনি যে সবকিছু জানেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ফলে রীতিমত প্রেস্টিজ চলে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই কারণেই তিনি পরিস্থিতিকে ঘোরানোর জন্য অন্য রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণের কৌশল বেছে নিয়েছেন। তবে এসব বলে কোনো লাভ হবে না। ২০২৬-এ বাংলার মানুষ তৃণমূল সরকারের বিসর্জন দেবে বলেই আশাবাদী গেরুয়া শিবির।