প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূল কংগ্রেস ভেবে নিয়েছে সংখ্যালঘু ভোট তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। তারা যেভাবে তাদের খেলাবে, সেভাবেই সংখ্যালঘুরা তাদের পক্ষে যাবে। অন্তত তেমনটাই বলেন বিরোধীরা। কিন্তু ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই সংখ্যালঘু প্রবন এলাকাগুলিতে তৃণমূলের ভিত যে নরম হতে শুরু করেছে, তা একটি চিত্রের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে মুর্শিদাবাদের মত সংখ্যালঘু প্রবন জেলায় বড়সড় ফাটল ধরলো ঘাসফুল শিবিরে।
বলা বাহুল্য, মুর্শিদাবাদ জেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের বেশি আধিক্য রয়েছে। যে কারণে এই সমস্ত এলাকায় তৃণমূল একচেটিয়া ভোট পায়। কিন্তু এবার সেই জেলাতে যেভাবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক দেখা গেল, তাতে শাসকের রাতের ঘুম যে উড়তে শুরু করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ মালদহ, মুর্শিদাবাদের মত এই সমস্ত সংখ্যালঘু প্রবন জেলাগুলি ২৬ এর বিধানসভা ভোটের নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে তৃণমূলের কাছে সব থেকে বড় টার্গেট। আর ভোটের আগে সেই জেলায় এত বড় ফাটল তৃণমূল যথেষ্ট ক্ষতিকারক বলেই দেখবে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন একাংশ।
জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের লালাগোলা বিধানসভার বাহাদুরপুর অঞ্চলে এদিন ব্যাপক দল বদল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি তাপস হালদার সহ ১৭ জন ব্যক্তি যোগদান ভারতীয় জনতা পার্টিতে। যেখানে তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জঙ্গিপুর জেলা বিজেপির সভাপতি সুবল ঘোষ। আর মুর্শিদাবাদের মত জেলায় তৃণমূলের একজন কর্মীও বিজেপিতে যাওয়া মানে, সেটা কিন্তু তৃণমূলের কাছে যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। তার মধ্যে তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি সহ ১৭ জন যেভাবে ভারতীয় জনতা পার্টিতে চলে গেল, তাতে অচিরেই খেলা ঘুরতে শুরু করবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সংখ্যালঘুরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারসাজি ধরতে পেরেছেন। হয়ত এখন তারা সেভাবে দলবদল করছেন না। কিন্তু শুধুমাত্র ভোটব্যাংকের জন্যই যে তাদেরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল এবং এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তা তাদের কাছে দিনের আলোর মত যত দিন যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে। তাই মুর্শিদাবাদ জেলায় ধীরে ধীরে যে দলবদল শুরু হয়েছে, আর ভবিষ্যতে যদি তা সংখ্যালঘুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে এবং তারাও যদি সাহস নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে কোনো দলে যায়, তাহলে সেটাই সবথেকে বড় দুশ্চিন্তার কারণ হবে ঘাসফুল শিবিরের কাছে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।