বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়ে মুখ খুললেন এক সময়ের বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ বলেন, তিনি এখন সাধারণ কর্মী, তাই প্রোটোকল অনুযায়ী নেতা বা পদাধিকারীদের মতো তাঁর সেখানে থাকা প্রযোজ্য নয়। তাঁর মতে, উত্তরবঙ্গের সভায় উত্তরবঙ্গের নেতারাই থাকবেন, কলকাতায় সভা হলে তিনিও থাকবেন।

দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে জানান, তিনি কোনও পদে নেই, কিন্তু মাঠে সক্রিয় আছেন। সাধারণ কর্মীদের সঙ্গেই কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতেও কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, “আমি যা দায়িত্ব পেয়েছি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি। কে স্বীকার করল বা করল না, সেটা নিয়ে ভাবি না।” তাঁর কথায় ফুটে ওঠে নির্লিপ্ত মনোভাব – দল যা দেবে তিনি তা গ্রহণ করবেন, আর সাধারণ কর্মী হিসেবেও কাজ করতে আপত্তি নেই।

এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “এই সভার আয়োজন করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি। তারাই জানে কাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে আর কাকে নয়।” দিলীপ ঘোষের প্রতি দলের অবস্থান সম্পর্কে যদিও তিনি কিছু বলেননি, যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষক মহলের দাবি। লোকসভা ভোটে তাঁর আসন বদলের সিদ্ধান্তে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এরপর দিঘার এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে তাঁর হাসিমুখে কথোপকথনের ছবি ঘিরে বিতর্কের আগুন আরও জ্বলে ওঠে। এবার প্রধানমন্ত্রীর সভায় অনুপস্থিত থাকায় প্রশ্ন উঠছে, তবে কি বিজেপির অন্দরমহলে তিনি ক্রমে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন?