প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাইরাল অডিও ক্লিপের ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করার মুরোদ হলো না এই রাজ্যের পুলিশের। কিন্তু সঠিক বিচার চাইতে গিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মিছিল করার জন্য টানা হ্যাচরা করে এই রাজ্যের প্রতিবাদী যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিজেদের প্রিজন ভ্যানে তুলে আটক করলো পুলিশ। সত্যি, এ কোন রাজ্যে বাস করছি আমরা? কোন বর্বরতার মধ্যে আছি আমরা? যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা, যিনি সুশাসনের কথা বলেন, সেই রাজ্যে শিক্ষকদের ওপর এ কোন নির্যাতন? প্রশ্ন তুলছে রাজ্যবাসী।

কি ঘটনা ঘটেছে? গতকালই যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যের পক্ষ থেকে যে নতুন করে পরীক্ষায় বসার কথা বলা হচ্ছে, তাতে তারা মোটেই রাজি নয়। কারণ তারা একসময় মেধাকে কাজে লাগিয়ে পরিশ্রম করে পরীক্ষায় বসে চাকরি পেয়েছেন। ফলে তারা আবার সরকারের দুর্নীতির কারণে কেন চাকরি পরীক্ষায় বসবেন? আর সেই প্রশ্নকে সামনে রেখেই আজ শিয়ালদহ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় নবান্ন পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতে রাস্তায় নামতে চেয়েছিলেন চাকরিহারা ব্যক্তিরা।

তবে সব জায়গাতেই পুলিশ তাদের আটক করতে শুরু করে। এমনকি পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, সেন্ট্রাল পার্কে যেখানে এই চাকরিহারা ব্যক্তিরা আন্দোলন করছেন, সেখানে তারা অর্ধনগ্ন অবস্থায় আন্দোলন শুরু করলে পুলিশ টানতে টানতে তাদের নিজেদের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। যার ফলে অনেক যোগ্য শিক্ষক আঘাত প্রাপ্ত পর্যন্ত হন। আর এই দৃশ্য সামনে আসতেই শিউরে উঠছেন রাজ্যের সাধারন মানুষ।

বিরোধীদের প্রশ্ন, আর ঠিক কত নিচে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? এতকিছু দেখার পরেও তিনি নবান্নে বসে আছেন কি করে! তিনি সবটা সহ্য করছেন কি করে? তার কি মানবিকতা বলতে কিছু নেই! নাকি ক্ষমতার স্বাদ পেয়ে তিনি সবকিছু ভুলে গিয়েছেন? যে শিক্ষক শিক্ষিকারা সমাজের অমূল্য সম্পদ। তাদের গায়ে আজকে হাত দিচ্ছে পুলিশ! তাদের ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে নিজেদের গাড়িতে তুলছে পুলিশ! এই দৃশ্য সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। এই রক্তের হিসাব, এই অত্যাচারের হিসাব সুদে-আসলে বর্তমান পুলিশ মন্ত্রীকে দিতে হবে বলেই দাবি করছেন বিরোধীরা।