প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে এসআইআর কতটা প্রয়োজনীয়, তা এখন পরোতে পরোতে উপলব্ধি করছেন সকলে। এতদিন বিরোধীরা দাবি করেছিলেন যে, এসআইআর হলেই ভুয়ো, অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটার এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাবে। আর এতদিন এই সমস্ত অবৈধ ভোটারদের রেখেই তৃণমূল একের পর এক নির্বাচনে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছিল। তবে বিরোধীদের এই দাবি তৃণমূল কংগ্রেস নস্যাৎ করে দিলেও, এবার পাণ্ডবেশ্বর থেকে যে খবর পাওয়া গেল, তা রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। যেখানে মায়ারানী গোস্বামী নামে এক মহিলা পাণ্ডবেশ্বরের একটি বুথে ভোট দিলেও তার নাম এই রাজ্যের ৪৪ টি জায়গায় রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এক ব্যক্তি এক জায়গায় ভোট দিচ্ছেন। কিন্তু তার পদবী পাল্টে দিয়ে রাজ্যের ৪৪ টি জায়গায় ভোটার তালিকায় কে তার নাম তুলে দিলো, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর এখানেই শাসকের মুখোশ খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বারবার করে দাবি করেছেন যে, এসআইআর হলে এক কোটির বেশি মানুষের নাম বাদ যাবে। এমনকি তার মুখ থেকে বারবার করে শোনা গিয়েছে যে, এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এক ব্যক্তির নাম বহু জায়গায় তুলে রেখেছে, যাতে তাদের ছাপ্পা ভোট দিতে সুবিধে হয়। আর এসআইআর হওয়ার পর এই সমস্ত ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে না বলে প্রত্যেকটি সভায় দাবি করছেন তিনি। আর তার মাঝেই এবার পাণ্ডবেশ্বরে যেভাবে এক ব্যক্তির নাম ৪৪ টি জায়গায় রয়েছে, সেই বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই পাণ্ডবেশ্বর এক ব্যক্তির নাম যেভাবে ৪৪ জায়গায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, সেই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “এই জন্যই এসআইআরের বিরোধিতা করছে তৃণমূল। উনি নিজে এক জায়গায় ভোট দিতেন, আর বাকি ৪৩ টি ভোট তৃণমূলের লোক দিয়ে দিয়ে আসতো। বিকেল বেলা ক্যামেরা বন্ধ করে চারটা থেকে ছয়টা তৃণমূল যেখানে বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারে না, সেখানে বুথ দখল করে। এটা হচ্ছে মডেল। গণতন্ত্রে এটা হতে পারে না। গনতন্ত্রে কখনও একটা দল ১০০ টি ভোটের মধ্যে ৯৮ টি ভোট পেতে পারি না। ভারতবর্ষের বহুদলীয় গণতন্ত্রে এটা কোথাও নেই।”