প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বেশ কিছুদিন ধরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল নেপাল। সেখানকার যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, তাতে রীতিমত আতঙ্কে পড়ে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষরা। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছিল। সরকারের বিরুদ্ধে আছড়ে পড়েছিল যুব সমাজ। যার ফলে প্রচুর মানুষ আহত পর্যন্ত হয়েছিলেন। আর এই পরিস্থিতিতে গতকালই অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি শান্ত হবে কিনা, নেপাল আবার তার হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। আর দায়িত্বে বসার পরেই সুশীলা কারকি বুঝিয়ে দিলেন, শাসক হয়ে সমাজের সর্বস্তরে নজর দিতে হয়।

নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝেই গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কারকি। দায়িত্বে বসার পর তার প্রথম পদক্ষেপ কি হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। আর শুধুমাত্র মুখের কথায় নয়, কাজের মধ্যে দিয়েই নিজে প্রকৃত শাসকের পরিচয় দিলেন এই প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি। এতদিন নেপাল উত্তপ্ত ছিল। প্রচুর মানুষ বিক্ষোভে আহত হয়েছিলেন। আর চেয়ারে বসেই সেই সমস্ত আহতদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী।

জানা গিয়েছে, এদিন নেপালের যে বিক্ষোভ, সেই বিক্ষোভে আহত ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান সুশীলা কারকি। নেপালের সিভিল হাসপাতালে তিনি পৌঁছে যেতেই অনেকেই হতবাক হয়ে যান। অনেকেই ভাবতে পারেননি যে, অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হয়েই এত বড় পদক্ষেপ নিয়ে নেবেন তিনি। কিন্তু চেয়ারে বসার পর তার অনেক দায়িত্ব রয়েছে, এটা সুশীলাদেবী খুব ভালো মতই জানেন। তাই নিজের রাজধর্ম পালন করার কর্তব্য হিসেবে এতদিন বিক্ষোভ হয়েছে, আর সেই বিক্ষোভে যারা আহত হয়েছেন, তাদের দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন তিনি। যা অত্যন্ত স্বাগত জানানোর মত বিষয় বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।