প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি কলকাতাকে লন্ডন বানাবেন‌। সত্যিই লন্ডন হয়তো কলকাতা হয়নি, তবে লন্ডনের যে টেমস নদী রয়েছে, তার একটা ছোটখাটো আকার কলকাতা শহর আজ নিয়ে নিয়েছে। তিলোত্তমা কলকাতা, নাকি ছোটখাটো নদী, তা বোঝা দায়। টানা পাঁচ ঘন্টার বৃষ্টিতে পুরো কলকাতা শহর রীতিমত জলের তলায়। শুধু কলকাতা কেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে এগিয়ে বাংলার কথা বলেন, দুয়ারে সরকারের কথা বলেন, সেই রকমই যেন দুয়ারে বন্যা কড়া নাড়ছে রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্নের বাইরে। যা দেখে খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।

গতকাল রাতে মেঘ ভাঙ্গা বৃষ্টি হয় শহর কলকাতা জুড়ে। টানা বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতা থেকে শুরু করে দক্ষিণ কলকাতা, বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। প্রচুর ট্রেন বাতিল হয়েছে। রাস্তায় সেভাবে বাস দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। অফিস যাত্রী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা রীতিমত সংকটের মুখে পড়েছেন। বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে সাত জনের মত মানুষ মারা গিয়েছে বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর তার মধ্যেই যে রাজ্য প্রশাসনের সবকিছু সামলানোর কথা, সেই প্রশাসনের সদর দপ্তর নবাবের বাইরে দেখা গেল জল থইথই অবস্থা। আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন, এটাই হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এগিয়ে বাংলার নতুন মডেল।

তাদের বক্তব্য, কলকাতায় উন্নয়নের মধ্য দিয়ে কি করে ভাসিয়ে দিতে হয়, সেটা করে দেখাতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এত উন্নয়ন করেছেন যে, মা দুর্গা আসার আগেই গোটা কলকাতাকে তিনি জলের তলায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সত্যিই তো বাংলা এগিয়ে। জমা জলের দিক থেকে এগিয়ে বাংলা, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে বাংলা, বিপর্যয়ের দিক থেকে এগিয়ে বাংলা। আর তার জন্য যদি কাউকে ক্রেডিট দিতে হয়, তা নিঃসন্দেহে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাওয়ার যোগ্য। তার দলের পরিচালিত পৌরসভা এত সুন্দর উন্নয়ন কলকাতা শহর জুড়ে করে দিয়েছে যে, আজ ঘরবন্দী হয়েই থাকতে হবে গোটা কলকাতার মানুষকে। এমনকি যে নবান্ন থেকে গোটা রাজ্য পরিচালিত হয়, সেই নবান্নের বাইরেও যে পরিস্থিতি, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, রাজ্যে উন্নয়নটা ঠিক কেমন হয়েছে! খোঁচা দিয়ে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।