প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পাকিস্তান শুধু ভারতের শত্রু নয়, জঙ্গিদের দিয়ে তারা যে কার্যকলাপ করাচ্ছে, তাতে শুধু তারা ভারতের ক্ষতি করছে না, নিজের দেশেরও কতটা ক্ষতি করছে, সেটা হয়ত পাকিস্তান সরকার নিজেরাও জানে না। পাকিস্তানের যে সমস্ত সাধারণ মানুষরা সরকারের দয়ায় বেঁচে থাকবেন বলে ভেবেছিলেন, এবার তাদের ঘুম উড়তে শুরু করলো। পাকিস্তান সরকার এবার নিজেরা যে পদক্ষেপ নিলো, তাতেই স্পষ্ট যে, এরা কারঔর ভালো চায় না। এরা নিজেদের দেশের মানুষের সঙ্গে গদ্দারি করতেও দুবার ভাবে না। সামান্য সুযোগ পেলেই এরা নিজেদের বড় ভাবতে শুরু করে। কিন্তু কেন এমন কথা বলা হচ্ছে? কি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান, যার পরিপ্রেক্ষিতে এমন সমস্ত প্রশ্ন উঠছে?

বলা বাহুল্য, এতটাই অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্তানে শুরু হয়েছিল যে, আইএমএফের কাছে তারা ঋণ চেয়েছিল। অন্যদিকে আইএমএফের পক্ষ থেকেও তাদের ১০ লক্ষ ডলার ঋণ দেওয়া হয়েছে। আর এই ঋণ পেয়ে পাকিস্তান সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতে মাথায় হাত পড়েছে সেখানকার সাধারণ মানুষের। জানা গিয়েছে, যে ঋণ তারা পেয়েছে, সেই অর্থ দিয়ে তারা জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং শ্রেণীর চেয়ারম্যানের বেতন বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলেই ফুসে উঠছেন পাকিস্তানের সাধারণ মানুষরা। তারা বলছেন, জনগণের জন্যই তো সরকার। যখন এত বড় যুদ্ধ ভারতের সঙ্গে শুরু হয়েছিল, সেখানে গোটা পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ সরকারের সঙ্গে ছিল। তাহলে আইএমএফের পক্ষ থেকে ১০ লক্ষ ডলার ঋণ পাওয়ার পর কেন জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সেনেট চেয়ারম্যানের বেতন পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হবে? কেন মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির কাজে সেই অর্থ লাগানো হবে না?

এদিকে পাকিস্তান এবার আইএমএফের পক্ষ থেকে ঋণ পেলেও কোনোভাবেই যাতে তাদের ঋণ দেওয়া না হয়, তার জন্য ভারতের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে যে সমস্ত শর্ত মানতে হয়, তার সবটাই মেনেছে পাকিস্তান। আর সেই কারণেই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে পাল্টা জানিয়ে দেয় আইএমএফ। তবে সেই ঋণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা যেভাবে নিজেদের সরকারের কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির কাজে তা লাগিয়ে দিলো, তাতে এসব মোটেই ভালো চোখে দেখছেন না সেখানকার সাধারণ মানুষ। তারা যেভাবে প্রতিনিয়ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে লড়াই করছেন, তাতে সেই রকম কোনো গঠনমূলক সিদ্ধান্ত মানুষের স্বার্থে কেন পাকিস্তান সরকার নিতে পারলো না, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। তাহলে তো আবার তারা ঋণ নিয়ে জনগণের স্বার্থে তা ব্যবহার না করে বরঞ্চ নিজেদের স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করলো! এতসবের পরেও কেন আইএমএফ তাদের ঋণ দেবে, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, পাকিস্তান সরকার কারওর জন্যই ভালো পদক্ষেপ নেবে না। না ভারতের জন্য, না অন্য কোনো দেশের জন্য না, নিজের দেশের মানুষের জন্য। আসলে তারা নিজের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে চায়। আইএমএফের পক্ষ থেকে এত ঋণ পাওয়া গেল, তারপর তা অবশ্যই তারা ভাল কাজে লাগাতে পারত। কিন্তু এত কিছুর পরেও যখন তাদের শুভবুদ্ধি হয়নি, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে, পাকিস্তানের এই স্বার্থান্বেষী সরকার শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতেই বদ্ধপরিকর। দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের মানুষের উন্নতির দিকে তাদের কোনো নজর নেই। তাই ভবিষ্যতে এই ধরনের স্বার্থান্বেষী সরকারকে ঋণ দেওয়ার আগে আরও চিন্তাভাবনা করা উচিত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির। সেক্ষেত্রে এতদিন পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারত সোচ্চার হয়েছিল। কিন্তু আইএমএফের পক্ষ থেকে এই ঋণ পাওয়ার পর যেভাবে তা সরকারের কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির কাজে লাগিয়ে দিলো পাকিস্তান সরকার, তাতে সেখানকার মানুষরাই কিন্তু এবার সেই সরকারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে শুরু করবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।