প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই রাজ্যের তৃণমূল নেতারা হয়ত ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করেন। তাদের রাজত্ব চলছে, তাই তারা যা খুশি করতে পারেন। সাধারণ মানুষের অত্যাচার ওপর অত্যাচার করতে পারেন, পুলিশকর্তাকে হুমকি দিতে পারেন। কেউ তাদের কিছু বলবে না। পুলিশ যেন তাদের হাতের মুঠোয় রয়েছে। কিন্তু এবার জনতার হুঁশ ফিরতে শুরু করেছে। এভাবেই যদি তৃণমূলকে ছেড়ে কথা বলা হয়, তাহলে তারা যা খুশি তাই করবে! তাই অনুব্রত মণ্ডলের কায়দায় দাপট চালানো শাসক নেতার ঘুম ছুটে গেল জনতার মারধরে। কি ঘটনা ঘটেছে?
এদিন পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা সন্তোষ সিংহের গাড়ি বেপরোয়া ভাবে চলতে শুরু করে। প্রথমে একটি গাড়িতে সেই তৃণমূল নেতার গাড়ি ধাক্কা মারে। পরবর্তীতে রাস্তা দিয়ে চলা একজন সাধারন মানুষকেও সেই গাড়ি ধাক্কা মারে। আর এই ঘটনার পরেই আইন হাতে তুলে নেয় উত্তেজিত জনতা। তৃণমূল নেতা বলে কি যা খুশি তাই করবেন? আইন ভেঙে যেভাবে বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছেন, যেভাবে নিরীহ মানুষকে সেই গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছেন! তার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তেজিত জনতা সেই তৃণমূল নেতার গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে, তাকে চরম শিক্ষা দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে সেই তৃণমূল নেতাকে আটক করে নিয়ে যায়। তবে অনেকে বলছেন, পুলিশ হয়তো পদক্ষেপ নিত না। কিন্তু জনতা যে ক্যালানি এই তৃণমূল নেতাকে দিয়েছেন, যেভাবে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেছেন নিরীহ পথচারীদের গাড়ির ধাক্কা দিয়ে মারার কারণে, তাতে জনতার হাত থেকে সেই তৃণমূল নেতাকে বাঁচাতেই হয়ত পুলিশ এসে তাকে আটক করতে বাধ্য হয়েছে বলেই দাবি একাংশের।
ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এই রাজ্যে আইন বলে কিছু নেই। সবটাই তৃণমূলের নেতাদের শেখানো আইন চলছে। সেই কারণেই বিরোধীরা শাসকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেই তাদের পুলিশের কেসের মুখে পড়তে হয়। কিন্তু তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখনও পর্যন্ত জেলের বাইরে রয়েছেন। তবে মানুষ জেগে উঠতে শুরু করেছেন। তৃণমূল নেতাদের অত্যাচার অনাচারের বিরুদ্ধে তারা যে প্রতিবাদ করছেন, তাতেই স্পষ্ট যে, এবার তৃণমূলের বিদায়ের ঘন্টা বেজে গিয়েছে। ২০২৬-এ এই রাজ্যের মানুষ পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দেবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল নেতার এত বড় সাহস হয় কি করে যে, আইন হাতে তুলে নিয়ে এভাবে রাস্তায় গাড়ি চালানোর? অন্য সময় তো কোন বাইক আরোহী কি গাফিলতি করেছেন, তা নিয়ে কেস দিতে ভোলে না পুলিশ। এমনকি রাস্তায় বিভিন্ন সময় বিরোধী নেতাদের অভিযোগ অনুযায়ী এবং তাদের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে, ট্রাক চালকদের কাছ থেকে তোলা তুলছে এই রাজ্যের পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই একজন তৃণমূল নেতা, একজন ব্যক্তির গাড়িতে প্রথমে ধাক্কা মারলেন, তারপর একজন নিরীহ পথচারীকে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা মারলেন, অথচ সেই সময় পুলিশ কোথায় ছিল? কেন জনতাকে পুলিশের হয়ে কাজ করতে হলো? কেন জনতা উত্তেজিত হয়ে সেই তৃণমূল নেতার ওপর চড়াও হওয়ার আগেই পুলিশ সেই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে পারলো না? প্রশ্ন উঠছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।