প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধকরণের প্রতিবাদে নেপালে বিধ্বংসী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে উন্মত্ত জনতার প্রতিবাদে একের পর এক সরকারি কার্যালয় অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছে। বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী। গোটা নেপালের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে এখনও পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে না। এবার সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে বসলো উন্মত্ত জনতা।

প্রসঙ্গত, গতকাল থেকেই নেপালে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আজ সেই পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর আকার ধারণ করে। একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন। বাধ্য হয়েই দুপুরে পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতিও পদত্যাগ করেন। আর এবার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, সংবাদমাধ্যমের অফিসেও হামলা চালালো উন্মত্ত জনতা। যেখানে কান্তিপুর পাবলিকেশনের অফিসে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে রীতিমত আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গতবছরের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেখা যাচ্ছে নেপালে। প্রথমে শ্রীলঙ্কা, তারপর বাংলাদেশ আর এবার নেপালে ঠিক একই গতিতে উন্মত্ত জনতা বিক্ষোভ করে সরকার ফেলে দেওয়ার কৌশল বেছে নিয়েছেন। তবে বাংলাদেশে যেভাবে সংবাদমাধ্যমের অফিস পর্যন্ত ভাঙচুর করা হয়েছিল, ঠিক একই ভাবে নেপালেও আজ সেই ঘটনা ঘটে গেল। তবে সংবাদমাধ্যমের অফিসে এইভাবে আগুন লাগানোর কারণ কি? কেন উন্মত্ত জনতা এখনও পর্যন্ত বিধ্বংসী বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কবে শান্ত হয় নেপাল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।