প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শাসক দলের সব নেতা-নেত্রীর কথার উত্তর দেন না বা দেওয়ার চেষ্টা করেন না। অবশ্য দেবেনই বা কেন? যার তার কথার উত্তর তাকে দিতে হলে তো সব সময় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে থাকতে হবে। আর যিনি তৃণমূল দলের সর্বেসর্বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছেন, তার কাছে যে চুনোপুটিরা কোনো গুরুত্ব রাখে না, তা বারবার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর আজ এক সাংবাদিক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন করতেই যে কথা বলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, তারপর যদি লজ্জা থাকে, তাহলে কল্যাণ ব্যানার্জি আর এইরকম মন্তব্য করে হাসির পাত্র হবেন না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।
বর্তমানে তৃণমূল এসআইআরের আতঙ্কে পড়ে যা খুশি তাই বলতে শুরু করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ পর্যন্ত করেছেন। এমনকি তার দলের নেতা-নেত্রীরাও হুমকি, হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আর সাংবিধানিক সংস্থাকে আক্রমণ করে নির্বাচন কমিশন শুভেন্দু অধিকারীর কথা মত চলছেন বলে আজ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার সেই মন্তব্য নিয়েই এক সাংবাদিক প্রশ্ন করতেই রীতিমত এর প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল সাংসদ সম্পর্কে পাল্টা বড় মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একটা পার মাতাল, রেজিস্টার্ড মাতাল। ওর কথার উত্তর দেব না।” তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী এই তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যের কোনো জবাব দিতে চাননি। কিন্তু আজ সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে কমিশনের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগসাজশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা কি বলবেন, তা জানার দিকে সকলের নজর ছিল। তবে নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সেই তৃণমূল সাংসদকেই রীতিমত লজ্জায় ফেলে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।