প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২১ এ বিজেপি বহু চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় আসেনি। তবে এটাই যে বিজেপির কাছে সুযোগ, তা দলীয় নেতারাও খুব ভালো মত জানেন। তাই সর্বস্ব দিয়ে তারা ২০২৬ এর নির্বাচনে লড়াই করছে। এক্ষেত্রে এসআইআর প্রক্রিয়া যাতে ঠিকমত হয়, তার জন্য আজ আবার বেশ কিছু অভাব, অভিযোগ নিয়ে সিইও দপ্তরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইও দপ্তরের বাইরে পুলিশের যে ভূমিকা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আর বেশি দিন যে পুলিশ এবং তৃণমূলের সঙ্গে এই লড়াই লড়তে হবে না, সেই কথা উল্লেখ করে তৃণমূলের বিদায় নিয়ে রীতিমত কনফিডেন্ট মনোভাব পোষণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

২০২১ এ বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে যে লড়াই দিয়েছিল, তার থেকেও এবার আরও দ্বিগুণ বেশি লড়াই তাদের নেতাদের পশ্চিমবঙ্গ দখলের ক্ষেত্রে লড়তে দেখা যাচ্ছে। তবে সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, শেষ পর্যন্ত কি সফলতা পাবে বিজেপি? তাদের বুথের সংগঠন কতটা মজবুত? তারা তৃণমূলের মত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কি এবার লড়াই করে পেরে উঠতে পারবে? নাকি এবারেও শেষ পর্যন্ত গণনা কেন্দ্রে খেলে দেবে এই রাজ্যের শাসক দল? তবে যাদের কাছে সবথেকে বেশি খবর থাকে, সেই ওপর তলার নেতাদের মনোভাব বুঝতে চাইছিলেন বিজেপির নীচু তলার কর্মীরা। আর আজ তৃণমূল রাজ্য থেকে বিদায় নিচ্ছে, সেই ব্যাপারে রীতিমত কনফিডেন্ট মনোভাব পোষণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেই আরও উজ্জীবিত হয়ে পড়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

এদিন সিইও দপ্তরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে নিজেদের অভাব, অভিযোগ পেশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা‌। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। যেভাবে পুলিশ আজ এখানে আসার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে, এমনকি বাইরে তৃণমূল পন্থী বিএলওদের একটা অংশ যেভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে এবং তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে পুলিশ, তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে আর বেশিদিন যে এই লড়াই লড়তে হবে না, সেই কথাও উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “আমরা জানি, আর ৪-৫ মাস এই লড়াই হবে। একদম অন্তিম জায়গায় চলে এসেছে। হ্যাঁ, অন্তিম জায়গায় চলে এসেছে। আর বেশি দিন আমাদের এই লড়াই দিতে হবে না।” আর বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, এবার তৃণমূলকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মপ্রত্যয়ী বিজেপি। তবে শুভেন্দুবাবুর এই বক্তব্য কতটা মেলে, তা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।