প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পাল্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছে ভারত। মুখে যতই পাকিস্তান বীরত্বের কথা বলুক যে, তাদের কিছু হয়নি, কিন্তু বাস্তবে তারা যে ভারতের এই অপারেশনে কতটা কাবু হয়ে পড়েছে, তা একমাত্র তারাই জানে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিদেশ মন্ত্রী, সকলেই যুদ্ধবিরতির সময় পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে সতর্কবার্তা দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর যদি আবার কোনো হামলা হয়, তাহলে ভারত ছেড়ে কথা বলবে না। কিন্তু এবার সেই পাকিস্তানের মুখোশ খোলার জন্য লন্ডনের মাটিতে গিয়ে ভারতের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য বাংলার সাংসদ যে কথা বললেন, তাতেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে যে, আবার পাকিস্থানের বিরুদ্ধে কি বড় কোনো অ্যাকশন নিচ্ছে ভারত?

কিন্তু কেন এমনটা বলা হচ্ছে? কার কথার ওপর ভিত্তি করে এমন চর্চা শুরু হয়েছে? বলা বাহুল্য, আন্তর্জাতিক স্তরে ইতিমধ্যেই ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রতিনিধি দল গিয়েছে। যেখানে দেশের বিভিন্ন সাংসদরা বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরছেন যে, পাকিস্তান কতটা সন্ত্রাসবাদীদের প্রশ্রয় দেয়! আর সেখানেই পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন বাংলার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এবার দেশের ভেতর থেকে আক্রমণ চালিয়েছি, বাড়াবাড়ি করলে দেশের ভেতরে ঢুকে মারব।” আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি আরও বড় প্রস্তুতি নিতে চলেছে ভারত?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তান কখনও নিজেদের শোধরায়নি। তারা যে জীবনে শোধরাবে না, সেটা সকলেই জানে। কারণ, সুযোগ পেলে আবার অসভ্যতা শুরু করবে পাকিস্তান। তবে তারা যাতে সেই সমস্ত কিছু করতে না পারে, তার জন্যই আন্তর্জাতিক স্তরে এরকম একটা বার্তা দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। সেদিক থেকে বাংলার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য একেবারে খেলা জমিয়ে দিলেন। এরপরেও যদি পাকিস্তানে বিবেক উন্মোচন না হয়, তাহলে সেটা যে তাদের জন্য কতটা বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা লন্ডনের মাটি থেকেই এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট আভাস পাওয়া গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।