প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কালীগঞ্জে বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যুর পরেই রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে গিয়েছে শিক্ষাঙ্গনের ভেতরে গণধর্ষণ কান্ড। যেখানে শাসক দলের এক প্রাক্তন ছাত্রনেতার যোগ থাকার খবর সামনে এসেছে। আর একের পর এক রাজ্যে কন্যা থেকে শুরু করে নারীদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিরোধীরা। আর সেই সময়ই এবার উত্তরবঙ্গে ফাঁকা বাড়িতে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো এক যুবকের বিরুদ্ধে। যে ঘটনায় ইতিমধ্যেই লেগেছে রাজনৈতিক রং। যেখানে শাসকের চাপ বাড়িয়ে টাকা দিয়ে ঘটনা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল বলে দাবি করছে বিজেপি।
বলা বাহুল্য, বর্তমানে গোটা রাজ্যজুড়ে নারীরা নিরাপদ নয় বলেই অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডের পর শাসকের চাপ আরও বেড়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যেই এবার জলপাইগুড়ি ধুপগুড়ি ব্লকের বারোঘরিয়া এলাকা থেকে এলো বড় খবর। যেখানে গত রবিবার এক নাবালিকার পরিবারের সকলের বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করছিলেন। আর সেই সময় নাবালিকাকে ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন পরিবারের সদস্যরা। বাড়ির লোকের কথা মত নাবালিকা ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে প্রতিবেশী যুবক বাড়ির ভেতরে ঢুকে সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, নাবালিকা কাউকে এই ঘটনার কথা বললে তাকে মেরে ফেলার হুমকি পর্যন্ত দেন সেই যুবক। ভয়ে প্রথমে কিছু বলতে না পারলেও পরবর্তীতে সেই নাবালিকা গোটা ঘটনা পরিবারের কাছে খুলে বলেন। আর তারপরেই ঘটনা অন্য রূপ নিতে শুরু করে।
গোটা বিষয়টি যাতে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হয়, তার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা থানায় অভিযোগ দায়ের করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ধৃত এই যুবককে আদালতে তোলা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, টাকার বিনিময়ে গোটা ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। যদিও বা বিজেপির তোলা সেই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল। পাল্টা বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙ্গুল তুলতে শুরু করেছেন। তবে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মাঝেই সবথেকে বড় প্রশ্ন যে, রাজ্যে কেন কন্যা থেকে শুরু করে মহিলারা নিরাপদ নন? কেন ঘটছে একের পর এক নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের মত ঘটনা? তাহলে এই রাজ্যের প্রশাসন কোথায়? কোথায় রাজ্যের নারী সুরক্ষা? মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে যদি মহিলারাই নিরাপদ না থাকেন, তাহলে এই রাজ্যে সরকার থেকে লাভ কি? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।