প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের সরকারকে কি করে কাবু করতে হয়, তা প্রতিমুহূর্তে দেখিয়ে দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যে কোনো ইস্যু সামনে এলেই রাতারাতি সেই ইস্যুর বিরুদ্ধে মানুষের জনমতকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল সরকারকে টাইট দিতে প্রতিনিয়ত আন্দোলনের রাস্তা বেছে নিয়েছেন তিনি। ২০২৬ এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না সরালে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচবে না বলে বিভিন্ন সভা থেকে গর্জে উঠছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে গিয়েছে কসবা গণধর্ষণের মত বীভৎস ঘটনা। আর তারপরেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এরপর থেকে তার যে সমস্ত কর্মসূচি হবে, সেই সমস্ত কর্মসূচি কন্যা এবং নারীদের সুরক্ষার দাবিতেই হবে। আর সেই মতই আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে রীতিমত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়ে প্রচুর মহিলাকে সাথে নিয়ে মহিলাদের সুরক্ষার দাবিতেই রাস্তায় নামলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
জানা গিয়েছে, এদিন ময়নায় শুভেন্দু অধিকারীর একটি কর্মসূচি ছিল। যেখানে প্রচুর মহিলাকে রাস্তায় নামতে দেখা যায়। সকলের হাতেই নারী সুরক্ষার দাবিতে ছিল পোস্টার। যে পোস্টারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে লেখা ছিল, “ছিঃ মমতা ছিঃ”। মূলত, শুভেন্দু অধিকারী বালিগঞ্জে উপনির্বাচনের দিন বোমার আঘাতে নাবালিকার মৃত্যু এবং তারপর কসবায় গণধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে নারী সুরক্ষার যাত্রার কথা বলেছিলেন, সেই যাত্রার অঙ্গ হিসেবেই এই প্রতিবাদ বলেই জানা যাচ্ছে।
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবেছিলেন, ৫০০ এবং ১০০০ টাকা দিয়ে মহিলাদের ভোট কিনে নেবেন। কিন্তু রাজ্যের মহিলারা এবার অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছেন। সামান্য টাকার কাছে তারা যে মাথা নত করবেন না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন। রাজ্যে একের পর এক মহিলাদের নির্যাতন, ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর পথেই পা বাড়িয়ে নারী শক্তির এই প্রতিবাদ আগামী দিনে তৃণমূল সরকারকে নবান্ন থেকে উৎখাত করবে বলেই দাবি বিরোধীদের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূল সরকারের আমলে যে সমস্ত কাণ্ডকলাপ হচ্ছে, তা সাধারণ মানুষও মেনে নিতে পারতেন না। তারাও ভোটের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল সরকারের উৎখাত চাইছেন। কিন্তু ভোটের আগে যেভাবে গ্রাউন্ড তৈরি করতে হয়, যে প্রতিবাদ করতে হয়, এতদিন শুধু তার প্রয়োজনীয়তা ছিল। তাই রাজ্যে ক্রমাগত যে মহিলাদের ওপর নির্যাতন এবং ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করার সেই গ্রাউন্ড তৈরি করে ফেলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই তার সুরে সুর মিলিয়ে একেবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে পোস্টারের মধ্যে দিয়ে আওয়াজ তুলে রাজ্যের মহিলারা যে প্রতিবাদে মুখর হয়েছেন, তাতে এবার তৃণমূলের শেষের শুরুর সূচনা হয়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক সমালোচকদের।