প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বারবার আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্য। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অস্বস্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে রীতিমত বিচারকের ধমকের মুখে পড়তে হলো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে। যেখানে এজলাসে ঢুকেই সিবিআইয়ের তদন্তকারীর অফিসার এবং সরকারি আইনজীবীকে না দেখেই রুষ্ট হয়ে গেলেন বিচারক। আর তারপরেই কড়া ধমক দিলেন তিনি। কি ঘটনা ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ব্যাঙ্কশাল আদালতে শুনানি শুরু হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শুনানির দিন সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার এবং সরকারি আইনজীবী। বিচারক শুভেন্দু সাহা আদালতে আসতেই তার নজরে গোটা বিষয়টি পড়ে। আর তারপরেই তিনি সিবিআইয়ের এক জুনিয়র আইনজীবীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন। গোটা বিষয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে যান সিবিআইয়ের আইনজীবী।
বিচারক শুভেন্দু সাহা বলেন, “সরকারি আইনজীবী কোথায়? তদন্তকারী অফিসার কোথায়?” আর তারপরেই সিবিআইয়ের জুনিয়র আইনজীবী যুক্তি দেন যে, তারা ব্যস্ত রয়েছেন। তাই আসতে পারেননি। আর তা শুনেই রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারক শুভেন্দু সাহা। তিনি বলেন, “একমাত্র আমি ব্যস্ত না, বাকি সবাই ব্যস্ত। যে সময় কাউকে গ্রেফতার করা হয়, সেই সময় আপনাদের প্রচুর সময় থাকে। অ্যারেস্ট করার পর আপনাদের তৎপরতা দেখা যায়। কিন্তু যখনই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়, আপনাদের কাছে কোর্টরুমে আসার সময় পর্যন্ত নেই।” স্বাভাবিকভাবেই বিচারকের এই ক্ষোভের মুখে পড়ে সিবিআইয়ের জুনিয়র আইনজীবী কি বলবেন, কি যুক্তি দেবেন, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছিল কৌতুহল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলা সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। আর এই সমস্ত ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের মধ্যেও তো এই প্রশ্ন উঠবে, যা বিচারক বলেছেন। যদি সত্যিই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে তারা সিরিয়াস হয়, তাহলে কেন এত গুরুত্বপূর্ণ শুনানির দিন সরকারি আইনজীবী এবং সিবিআইয়ের কোনো অফিসারকে আদালতে দেখা গেল না? তাই নিশ্চিত করেই বিচারক যে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন, তার ফলে কিন্তু যথেষ্ট পরিমাণে চাপে পড়ে গেল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।