প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
মাঝেমধ্যেই কুকথার জন্য খবরের শিরোনামে উঠে আসেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তার হুমকি, হুঁশিয়ারি রীতিমত মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। সমালোচনার শিকার হন তিনি। কিন্তু তারপরেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর এসআইআর আতঙ্কে বর্তমানে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা রাজ্যজুড়ে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন, স্বাভাবিক ভাবেই তিনি পিছিয়ে থাকেন কেন? আর এবার ফের কুকথা বলে খবরের শিরোনামে উঠে এলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে আগামী ৪ তারিখ থেকে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন। আর সেদিন থেকেই মূল সূচনা পর্ব শুরু হবে। তবে তার আগেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন নেতা-নেত্রীরা হুমকি হুঁশিয়ারি দিতে শুরু করেছেন। একজনের নাম বাদ গেলে দেখে নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করছেন তারা। আর এসবের মধ্যেই যিনি মাঝেমধ্যেই হুমকি হুঁশিয়ারি দিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন, সেই আব্দুর রহিম বক্সীও এবার ময়দানে নেমে পড়লেন। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বাংলার প্রধান বিরোধী দল বিজেপির উদ্দেশ্যে কুকথা বলে ফেললেন তিনি। যার ফলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এদিন একটি কর্মসূচি থেকে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করেন মালদহ জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী। তিনি বলেন, “আমরা যারা মালতীপুর বিধানসভায় বসবাস করি, একজনও বাংলাদেশী এখানে নেই, একজনও রোহিঙ্গা এখানে নেই। তাদের এই ঘৃণ্য চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য যে ফর্ম ফিলাপ হবে, সেটা আমরা ১০০ শতাংশ করব। আর এই প্রক্রিয়া শেষ করার পরে তাদের মুখের ওপরে জুতো ছুড়ে মারব আমরা। আমাদের এখানে যত নেতৃত্ব রয়েছে, তাদের কাছে এবার সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। ১০০ শতাংশ ভোটার লিস্টে নাম তুলে দিয়ে কাদা ছুঁড়ে, জুতো ছুড়ে আমরা বুঝিয়ে দেব যে, বাংলায় কোনো অনুপ্রবেশকারী নেই, বাংলায় কোনো রোহিঙ্গা নেই।” আর এখানেই বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের পাল্টা প্রশ্ন যে, যদি এরকম রোহিঙ্গা বা অনুপ্রবেশকারী নাই থাকে, তাহলে তো অসুবিধা থাকার কথা নয়। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তো এসআইআর করেছে। তারা তো দায়িত্ব নিয়ে গোটা প্রক্রিয়া পালন করবে। সেদিক থেকে বিজেপির ওপর কেন এত রাগ দেখাচ্ছেন এই তৃণমূল নেতা? তাহলে কি ওপরে এক কথা বললেও, ভয়ে, রাগে, যন্ত্রনাতেই তৃণমূল নেতার এই কথা? তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।