প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
গত বছর আরজিকরে হাসপাতালের ভেতরে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় নড়ে উঠেছিল গোটা রাজ্য। লাগাতার প্রতিবাদে ঘুম উড়ে গিয়েছিল সরকারের। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়। শুরু হয়েছিল রাত দখলের মত আন্দোলন। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তায় পড়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। বারবার তাদের আন্দোলনকে সামাল দেওয়ার চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে হলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। তবে আবার শুরু হতে চলেছে সেই রাত দখলের মত আন্দোলন। একদিকে কসবার ল কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় এমনিতেই চাপে পড়েছে রাজ্য। আর তার মধ্যেই আরজিকরের ঘটনার বর্ষপূর্তির দিনেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে যে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হলো, তাতে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যাবে রাজ্য প্রশাসন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বলা বাহুল্য, গত এক বছর আগে আরজিকরের নৃশংস ঘটনার পর থেকেই গোটা রাজ্যের প্রতিবাদী মানুষরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। রাত দখলের মত আন্দোলন সরকারের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। ক্রমাগত জুনিয়র চিকিৎসকদের একের পর এক আন্দোলনমূলক ঘোষণা ক্রমাগত স্নায়ুর চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল নবান্নের। আর এই পরিস্থিতিতে আবার আরজিকরের ঘটনার বর্ষপূর্তির দিনেই বড় আন্দোলনের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এদিন জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বড় কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, আগামী ৮ এবং ৯ আগস্ট মধ্যরাতে একটি প্রতিবাদ আন্দোলন করা হবে। অর্থাৎ এক বছর আগে আরজিকরের ঘটনার পর তার প্রতিবাদ করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় যে রাত দখল কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল, সেই একই কর্মসূচি আবার হতে চলেছে রাজ্যে। শুধু তাই নয়, ৯ আগস্ট সকালের রাখী বন্ধন করে বিকেলে আরজিকর মেডিকেলে জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিঃসন্দেহে জুনিয়র চিকিৎসকদের আবার এই পদক্ষেপ সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেবে। এমনিতেই আরজিকরের ঘটনার এখনও পর্যন্ত সুবিচার হয়নি বলেই অনেকেই দাবি করছেন। আর তার মধ্যেই কসবার ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনার পর রাজ্যের নারী নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সরকারের অস্বস্তি দ্বিগুণভাবে বাড়িয়ে দিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের আগামী ৯ আগস্ট অভয়াকে স্মরণ করে এই একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা নবান্নের ঘুম উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বলেই নে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।