প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বিরোধীদল এবং বিরোধী রাজনীতি যারা করেন, তাদের যে কোনো আন্দোলন করার অধিকার নেই, সব আন্দোলন, সব কর্মসূচি যে একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেসই করতে পারবে, তা দেখতে দেখতে অভ্যস্ত রাজ্যবাসী। বিরোধীরা বলেন যে, এই রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। গতকাল যেভাবে কোচবিহারে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয়েছে, তা রীতিমত আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে রাজ্যবাসীর মধ্যে। যেখানে বিরোধী দলনেতাই নিরাপদ নন, সেখানে সাধারণ মানুষ কি করে নিরাপদে থাকবেন, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তার মধ্যেই আজ সেই শুভেন্দু অধিকারীর বারাসাতে কন্যা সুরক্ষা যাত্রা কর্মসূচির আগেই শুরু হয়ে গেল ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। যেখানে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য করে তৃণমূলের পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে।

বলা বাহুল্য, কোচবিহারের শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলার ঘটনার পর আজ আবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বারাসাতে। যেখানে বারাসাতে শুভেন্দুবাবুর কন্যা সুরক্ষা যাত্রা কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তার আগেই তৃণমূল এবং বিজেপির দুই পক্ষের মধ্যে বচসা এবং হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের যে অফিস চাপাডালি মোড়ে রয়েছে, সেখান থেকেই তাদের উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। যদিও বা তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি কর্মীরাই পতাকা তুলে তাদের দিকে এগিয়ে আসছিলেন। ইতিমধ্যেই রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে পরিস্থিতি। দুই পক্ষের মধ্যেই হাতাহাতি শুরু হয়ে গিয়েছে। একে অপরের দিকে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তেড়ে যাচ্ছেন দুই দলের কর্মীরাই। পরিস্থিতি সামলাতে এলাকায় নামানো হয়েছে পুলিশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচিকে টার্গেট করে সেখানে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, শাসক দল শুভেন্দুবাবুকে কোনোমতেই সহ্য করতে পারছেন না। গতকাল কোচবিহারে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। যেভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কনভয়ে হামলা হয়েছে, তাতে শাসকের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। আর আজ সেই শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচির আগেই যেভাবে বারাসাত উত্তপ্ত হয়ে উঠলো, তাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তেমনই শাসক দলের উস্কানিতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে বলেই দাবি করছে বিজেপি।