ভারতের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বুধবার মধ্যপ্রদেশের চিত্রকুটে যান জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্যের আশ্রমে। সেখানে তিনি আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ গ্রহণ করেন গুরুজির কাছ থেকে। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আশীর্বাদ দেওয়ার পাশাপাশি গুরুজী চাইলেন গুরুদক্ষিণা। আর সেই গুরুদক্ষিণা হিসেবে তিনি দাবি করেন — পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (পিওকে)। গুরুজীর এই অনুরোধ ঘিরে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে রাজনীতির আঙিনায়।
সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার জবাবে ভারতীয় সেনা চালায় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পর থেকেই আরও জোরালো হয়েছে পিওকে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একাধিকবার বলেছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো আলোচনার প্রসঙ্গ উঠলে তা শুধুই সন্ত্রাসবাদ ও পিওকে নিয়েই হবে। সেই প্রেক্ষিতেই গুরুজীর এই গুরুদক্ষিণা চাওয়াকে অনেকে দেখছেন একটি প্রতীকী বার্তা হিসেবে।
এবার সংখ্যালঘুরাও আর ভোট দেবে না মমতাকে? চরম বেকায়দায় তৃণমূল!
জগদ্গুরু রামভদ্রাচার্য একজন প্রখ্যাত হিন্দু আধ্যাত্মিক নেতা, সংস্কৃত পণ্ডিত ও দার্শনিক। তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন এবং সমাজে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনি জানান, লঙ্কায় যাওয়ার আগে রামচন্দ্র যে মন্ত্র দিয়ে হনুমানকে দীক্ষা দিয়েছিলেন, সেই মন্ত্রেই এবার দীক্ষা দেওয়া হয়েছে সেনাপ্রধানকে। এই আধ্যাত্মিক দীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেন এক বিশেষ শক্তি ও দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে বলেই মত অনেকের।
এই সাক্ষাতের সময় জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী আশ্রমের সাধু-সন্ত ও ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। গুরু-শিষ্যের এই সাক্ষাৎ যেন আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে কৌশলগত বার্তাও বহন করে — এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। পিওকে নিয়ে কেন্দ্রের দৃঢ় অবস্থানের মাঝে এই ঘটনা আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠছে। এখন দেখার বিষয়, এই প্রতীকী গুরুদক্ষিণার আহ্বান আগামী দিনে বাস্তবে কোনও কৌশলগত পদক্ষেপে প্রভাব ফেলে কি না।