প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল যেভাবে যুবভারতীতে তান্ডব হয়েছে, যেভাবে দর্শকদের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে, তার পেছনে যে অব্যবস্থা এবং মন্ত্রীদের আদিখ্যেতা রয়েছে, তা নতুন করে বলতে হবে না। সকলের একটাই মতামত যে, হাজার হাজার টাকার টিকিট কেটে তো কেউ অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসুদের দেখতে চাইনি বা তাদের পরিবারের সদস্যদের দেখতে চায়নি। তারা দেখতে গিয়েছিল, তাদের স্বপ্নের নায়ক মেসিকে। কিন্তু যেভাবে মেসিকে ঘিরে ধরেছিলেন অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা, তাতে জনতা আর তাদের রাগ আটকে রাখতে পারেননি। শুধু রাজ্যের মিডিয়া নয়, শুধু ভারতের মিডিয়া নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়াতেও বাংলার এই অপব্যবস্থার কথা যেভাবে উঠে আসছে, তার জন্য যে এই রাজ্যের প্রশাসন দায়ী, তারাই যে এই অব্যবস্থার জন্য বাংলাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে, সেই ব্যাপারে পাল্টা দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই এবার যে অব্যবস্থা হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
গতকাল যুবভারতীতে যে চিত্র সামনে এসেছে, যে অব্যবস্থা সামনে এসেছে, তারপর থেকেই সকলেই দাবি করছেন যে, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং অরূপ বিশ্বাসকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? তারা যেভাবে আদিখ্যেতা দেখাচ্ছিলেন, দর্শকরা হাজার হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কেটেও তাদের মেসিকে আগলে রাখার কারণে, তারা কিছুই দেখতে পারেননি, যার ফলে দর্শকরা রীতিমত তাণ্ডব চালিয়েছেন যুবভারতীতে। সকলেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং আয়োজকদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছেন। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে একের পর এক ঘটনায় যে অবব্যবস্থা সামনে আসছে এবং গতকাল যেভাবে যুবভারতীতে মেসির অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসনকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন যুবভারতীতে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছে মেসির অনুষ্ঠান নিয়ে, তার পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, “রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যিনি মুখ্যমন্ত্রী এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে গ্রেপ্তার করা উচিত ছিলো, সবার আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনের ওপর এই দায় বর্তায়।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মমতাদি চিরকাল বেঁচে থাকবেন না, আমিও থাকব না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গকে উনি যেদিকে নিয়ে যাচ্ছেন, ইতিহাস ওনাকে ক্ষমা করবে না। আজ ভোটের ব্যালট, ইভিএমে যাই হোক, আমাদের দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, জনবিন্যাস গুড়িয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। আমার মনে হয়, ইতিহাস দিদির প্রতি সদয় হবে না। চিরকাল ওনার সমালোচনা হবে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংস করার জন্য ওনাকে মনে রাখা হবে।”