প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এতদিন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দাবি করেছিল যে, পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশকারী বা অবৈধ ভোটার বলে কেউ নেই। কিন্তু এখন এসআইআর হওয়ার পরেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কত পরিমান অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছেন! যারা এখন সীমান্তে হত্যে দিয়ে পড়ে রয়েছেন, ওপারে ফিরে যাওয়ার জন্য। এমনকি সীমান্তে গিয়ে বিভিন্ন সাংবাদিকরা কভার করতে গিয়ে এই খবরও প্রকাশ করেছেন যে, সেই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে শুধু থেকেছেন, ভোট দিয়েছেন, তাই নয়। তারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মত প্রকল্পও পেয়েছেন। এতদিন বিরোধীরা এই সমস্ত দাবি করলেও, তৃণমূল তা মানেনি, বরঞ্চ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এফআইআর হওয়ার পর সীমান্তের যে চিত্র সামনে আসছে, যেভাবে অবৈধ বাংলাদেশিরা এতদিন পশ্চিমবঙ্গে ঘাটি গেড়েছিল, তার তথ্য যেভাবে প্রকাশ্যে আসছে, তা নিয়ে এবার পশ্চিমবঙ্গের ডেমোগ্রাফি যেভাবে বদলে যাচ্ছে, সেই তথ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পরেই প্রকাশ্যে আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর যে পদ্ধতিতে এবং যে গতিতে চলছে, তাতে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা রীতিমত চাপে রয়েছেন। যার ফলে তারা এখন রাজ্য ছাড়তে শুরু করেছেন। আর সীমান্তে সেইসব প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশিদের তথ্য সামনে এনে আজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রায় ৪০ মিনিটের মত সময় বৈঠক করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির প্রতিনিধি দল। আর সেখানেই তারা বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেন। এমনকি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডেমোগ্রাফি যেভাবে বদলে যাচ্ছে সেই সংক্রান্ত ম্যাপ দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এভাবেই বাংলায় অবৈধ বাংলাদেশিদের এতদিন আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাই এদের নাম যাতে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, তার জন্য কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দাবি জানিয়েছেন তারা।
এদিন কলকাতায় জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিনিধিরা। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যেখানে তিনি বলেন, “আমরা যোগাযোগ করেছিলাম যে, জ্ঞানেশ ভারতী এবং তার টিমের সঙ্গে এবং সিইওর সঙ্গে দেখা করে আমরা আমাদের কিছু বক্তব্য জানাতে চাই এবং কিছু অভিযোগ করতে চাই। প্রায় ৪০ মিনিটের আলোচনা হয়েছে আমরা বলেছি পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে ডেমোগ্রাফি পরিবর্তন হয়েছে এবং বর্ডারে জমি না দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ঢুকিয়ে ভোটার লিস্টে নাম তোলা হয়েছে, তা তুলে ধরেছি। পাশাপাশি বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মিডিয়া, পোর্টাল এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্ডারে যে বাইটগুলো আসছে, তাতে কেউ বলছে, আমরা দুবার ভোট দিয়েছি, কেউ বলছে আমরা তিনবার ভোট দিয়েছি। আবার কেউ বলছে, আমার খুলনা বাড়ি, কেউ বলছে সাতক্ষীরা বাড়ি, কেউ বলছে দিনাজপুর বাড়ি। আর সব থেকে বড় কথা তারা বলছেন, তারা দুবার, তিনবার করে ভোট দিয়েছেন। আমরা সেই বিষয়ে ডেমোগ্রাফি চেঞ্জের একটা পুরো ম্যাপ তৈরি করে আমরা জ্ঞানেশ ভারতীকে দেখিয়েছি যে, কিভাবে দেশের সর্বনাশ মমতা ব্যানার্জি এবং তার প্রশাসন করছে। আপনি তো সত্যিকারের ভারতীয়। সে আপনি যে দলই করুন না কেন, যে ধর্মই করুন না কেন। আপনি কি আপনার দেশের এই সর্বনাশটা চান? এটা করেছে মমতা ব্যানার্জি এবং তার প্রশাসন। আমরা বলেছি এদের নাম কাটতে হবে।”