প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সকলের মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারলেও, এই রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সকল মানুষের বিপদেই পৌঁছে যাচ্ছেন। আক্ষরিক অর্থেই মানুষের নেতা হয়ে উঠেছেন তিনি। এর আগে যখন আরজিকরের ঘটনা ঘটেছিল, সেই সময় থেকে এখনও পর্যন্ত সেই অভয়ার মা-বাবার পাশে থেকে প্রতি সময়ে তাদের লড়াইয়ের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আর সেই আরজিকরের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রাজ্যে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর ঘটনা। যেখানে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে নিন্দায় সরব গোটা রাজ্য। সকলেই প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন। তবে যার মেয়ের সঙ্গে সেই ঘটনা ঘটেছে, তার পরিবার জানে, তারা কতটা আতঙ্কে, কতটা বিপদের মধ্যে রয়েছেন। তাই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমস্ত বিপদে তাদের সঙ্গে যে তিনি রয়েছেন, তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, দুর্গাপুরে এক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে কি ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যায় সেই তরুণী চিকিৎসক খাবার নিতে বাইরে বের হন। আর সেই সময় ফেরার পথে দুই তিন জন যুবক তার পথ আটকান। পরবর্তীতে তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সেই তরুণী চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে আজ সেই নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে নির্যাতিতার চিকিৎসার সমস্ত বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি যাতে সঠিক বিচার হয় তার জন্য তিনি সবসময় পাশে থাকবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতা হিসেবে যে কাজ করছেন, তা অনেক আগেই করা উচিত ছিল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কারন তিনি এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর তার ওপরে তিনি একজন মহিলা। কিন্তু তার সরকারের আমলে যেভাবে মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আরজিকরের পর আবার এই রাজ্যের বুকে দুর্গাপুরে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটে গেল, তাতে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার প্রশাসনের অনেক আগেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত ছিল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে না করা হলেও, আগেভাগেই সেই পদক্ষেপ নিয়ে যেখানে বিপদ, সেখানেই যে তিনি পৌঁছে যাবেন, তার আরও একবার প্রমাণ দিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্তত তেমনটাই বলছেন গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা।