প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি পুরো প্যানেল বাতিল হতেই এখন রাস্তায় রয়েছেন যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিরা‌। সরকার কোনো উপায় না দেখে এখন আবার নোটিফিকেশন জারি করে পরীক্ষায় বসার কথা বলছেন। তবে যারা যোগ্য, যারা একসময় মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তারা আবার কেন পরীক্ষা দেবেন, এই প্রশ্ন তাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে। তাই সেই বিষয়টিকে নিয়ে তারা আন্দোলন করছেন, পুলিশের গ্রেফতারি সহ্য করছেন। কিন্তু তারপরেও নিজেদের দাবি থেকে সরছেন না। তবে যোগ্য-অযোগ্য এই দ্বন্দ্বের মাঝেই এবার সব থেকে বড় অযোগ্য এই রাজ্যে যিনি রয়েছেন, তার নাম প্রকাশ করে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছেন যে, আজ যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে একটি বড় কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। যেখানে শিয়ালদহ থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় তারা প্রতিবাদ মিছিল করে নবান্ন যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ধরপাকড় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই রাজ্যের পুলিশ কতটা দলদাস যে, যোগ্য শিক্ষকদের পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে তারা দুবার ভাবে না, তা তাদের রুচিবোধের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে রাজ্যের মানুষের কাছে। তবে কারা যোগ্য, কারা অযোগ্য, এই প্রশ্ন সকলের কাছেই যখন ধোঁয়াশার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তখন এই যোগ্য-অযোগ্য যারা ভাগ করেনি, যারা এটাকে প্রশ্রয় দিয়ে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়েছেন, যাদের জন্য এই সর্বনাশ ঘটেছে শিক্ষা ব্যবস্থায়, এবার সেই অযোগ্যকেই সরানোর ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা।

এদিন বিজেপির দলীয় কার্যালয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই যোগ্য-অযোগ্য দ্বন্দ্ব এবং চাকরিহারাদের যে প্রতিবাদ, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই রাজ্যের প্রায় ১১ কোটির কাছাকাছি মানুষ যোগ্য। একজন শুধু অযোগ্য। রাজ্যের মানুষকে বলছি, আর বেশি সময় নেই। আগামী বছরের মার্চ, এপ্রিল মাসের দিকে নির্বাচন। তাই একজন অযোগ্যকে সরান। তার নাম মমতা ব্যানার্জি।”

বিরোধীদের দাবি, একদম ঠিক কথাই বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সত্যিই তো তাই। তৃণমূল দলে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ কথা, ঠিক তেমনই প্রশাসনেও তার কথা ছাড়া, তার সিদ্ধান্ত ছাড়া যে কোনো সিদ্ধান্ত হয় না, এটা তো সকলেরই জানা। ফলে এই যে শিক্ষাব্যবস্থায় এত বড় দুর্নীতি হয়েছে, যোগ্য এবং অযোগ্যের সঠিক তালিকা সরকার দিলো না জন্যেই যে আজকে আদালতের নির্দেশের কারণে কিছু অযোগ্যের চাকরি চলে গেল এবং তার জন্য সবথেকে বড় অযোগ্য হয়ে যিনি নবান্নে বসে রয়েছেন, তাকেই তো দায়ী করা উচিত। তাই রাজ্যের মানুষকেও এবার ভাবতে হবে, যোগ্য-অযোগের যে দ্বন্দ্ব শিক্ষা ব্যবস্থায় চলছে, সর্বত্র যে অরাজকতার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে রাজ্যে, তাতে সবথেকে বড় অযোগ্য ব্যক্তিকে তারা কবে রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবেন! সাধারণ মানুষকে সেই বিষয়েই ভাবার আহ্বান জানালেন শুভেন্দু অধিকারী।