প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা এমন সমস্ত কিছু মন্তব্য মাঝেমধ্যে করে বসেন যে, কেন্দ্র বিরোধীতা করতে গিয়ে তারা দেশবিরোধীতার পরিচয় দেন। যেমন কিছুদিন আগেই মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র জঙ্গিরা কখনও পর্যটকদের হত্যা করতে পারে না, তারা পর্যটকদের ভালোবাসে বলে মন্তব্য করেছেন কাশ্মীরের পহেলাগাওয়ের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে। স্বাভাবিকভাবেই তার রুচিবোধ নিয়ে গোটা রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীরা বলছেন, এতেই প্রমাণিত যে, তৃণমূল কত বড় দেশবিরোধী দল! তা না হলে একজন দায়িত্বশীল বিধায়ক কি করে এমন মন্তব্য করতে পারেন? আর সেসবের মধ্যেই এবার সেই তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যকে হাতিয়ার করে যারা যারাই তৃণমূলের মধ্যে থেকে দেশবিরোধীতার মত মন্তব্য করছেন, তাদের বাংলাদেশে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, কখনও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কখনও মহুয়া মৈত্র, আবার কখনও বা সাবিত্রী মিত্র। একের পর এক তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদদের মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেউ আজাদ কাশ্মীরের কথা বলছেন, আবার কেউ বা বলছেন, জঙ্গিরা পর্যটকদের ভালোবাসে। স্বাভাবিকভাবেই ভারতবর্ষের সেনাবাহিনী ভারত সরকার যখন ক্রমাগত সেই জঙ্গিদের নিকেশ করার পক্ষে কাজ করছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদদের এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য পাকিস্তানের হাতেই বাড়তি অস্ত্র তুলে দিচ্ছে বলেই দাবি করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আর সেসবের মধ্যেই তৃণমূলের এই সমস্ত বিধায়ক, সাংসদদের আক্রমণ করার পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশ যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে চাপ বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দুবাবু বলেন, “লজ্জা লাগে আমি যে বিধানসভার সদস্য, সেই বিধানসভার একজন সদস্যা, তৃণমূলের বিধায়ক, তিনি বলছেন, জঙ্গিরা পর্যটকদের ভালোবাসে, হত্যা করতে পারে না। আমি তৃণমূলের এই সমস্ত সাংসদ, বিধায়কদের বলব, আপনাদের যদি ভালো লাগে, আপনারা বাংলাদেশে যেতে পারেন। যদিও বা মোল্লা ইউনুস যাহা, খালা মমতাও তাহা।” অর্থাৎ এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের যে সমস্ত জনপ্রতিনিধিরা শুধুমাত্র দেশের বিরোধিতা করার জন্য সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মত শত্রু দেশগুলির হাত শক্ত করছে, তাদেরকেই রীতিমত চাপে ফেলে দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন যে, এই সমস্ত দেশবিরোধী ব্যক্তিদের জায়গা ভারতবর্ষ নয়। তাই তারা চাইলে বাংলাদেশে যেতে পারেন।