প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যে হিন্দুদের রক্ষা করতে সবথেকে বেশি যে দল পরিশ্রম করছে, তা হচ্ছে বিজেপি। রাজ্যের মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, হিন্দুরা যদি বাঁচতে চায়, তাহলে বিজেপিকেই আগলে নিতে হবে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সকলে মিলে সনাতনী সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সমর্থন করতে হবে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। বিভিন্ন সভা সমিতিতে তেমনটাই বলছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে যেখানে হিন্দুদের আধিক্য বেশি নেই, যেখানে মুসলিমদের বেশি সংখ্যা, সেই সমস্ত এলাকা যে বিজেপির হাতে থাকবে না, তা নিয়েও নিশ্চিত তিনি। কিন্তু কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন, যার ফলাফল আজ ঘোষিত হচ্ছে, সেখানে মুসলিম জনসাধারণের সংখ্যা বেশি থাকলেও, তার মধ্যে যে সমস্ত হিন্দু এলাকা রয়েছে এবং হিন্দু বুথ রয়েছে, সেখানে কি ফলাফল হবে, তা নিয়ে শুভেন্দুবাবু যে কথা বললেন, তাতে কিন্তু টেনশন বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের

বলা বাহুল্য, আজ সকাল থেকেই কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। প্রথম থেকেই যা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তাতে দিনের শেষে হয়ত শেষ হাসি হাসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু তৃণমূল এখানে জয়লাভ করলেও ভোটের অংক যে কথা বলছে, তাতে কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট চাপ বাড়বে রাজ্যের শাসক দলের। কারণ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দাবি, সেখানে যে সমস্ত এলাকায় হিন্দুদের আধিক্য রয়েছে, যে সমস্ত এলাকায় হিন্দু বুথ রয়েছে, সেখানে এগিয়ে থাকবে বিজেপি। আর শুভেন্দুবাবুর এই কথা যদি উপনির্বাচনের মত নির্বাচনেও সত্যি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে বোঝাই যাচ্ছে যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত হিন্দুরা কতটা একত্রিত হয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবে! আর হিন্দুরা যদি একত্রিত হয়ে যায়, তাহলে তৃণমূলের মুখের হাসি যে উড়তে বাধ্য, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বহুদিন আগে থেকেই হিন্দু ভোটকে এক জায়গায় করতে এবং তা বিজেপির পক্ষে আনতে লাগাতার পরিশ্রম করেই চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপনির্বাচনের ফলাফল বেশিরভাগ শাসকের পক্ষেই যায়। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিমদের বেশি আধিক্য থাকার কারণে এই কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলই যে জয়লাভ করবে, সেই ব্যাপারে অনেকেই নিশ্চিত। তবে তৃণমূলের কাছে একটা বড় চিন্তার কারণ, এখানকার হিন্দু ভোট। দিনের শেষে ভোটের রেজাল্ট পুরোপুরি ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর যে সমস্ত হিন্দু বুথ এই কালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত রয়েছে, সেখানকার ফলাফল যদি সামনে আসে এবং সেখানে যদি দেখতে পাওয়া যায় যে, তৃণমূল কংগ্রেসকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি, তাহলে কিন্তু আগামী বিধানসভা নির্বাচনে যে সমস্ত জায়গায় হিন্দুদের আধিক্য রয়েছে, সেখানে ছুটে যাবে পদ্মফুল। আর শুধুমাত্র মুসলিম ভোটকে সম্বল করে যে তৃণমূল কোনোমতেই রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। তাই উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিজেপি খুব একটা আশাবাদী না থাকলেও, হিন্দুরা একত্রিত হয়েছে কিনা, তা এই উপনির্বাচনের ফলাফলের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে যাবে এবং তার ফল আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত হিন্দু ভোট নিজেদের ঝুলিতে পুড়তে চেষ্টা লাগাবে গেরুয়া শিবির বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা