প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে যে অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেভাবে এসআইআর প্রক্রিয়াকে বাধাদান করার জন্য তৃণমূল রাস্তায় নেমেছে, তারপরেও কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হচ্ছে না? এই রাজ্যের বুকে একের পর এক বিরোধী দলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর হামলা হচ্ছে। তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। তারপরও কেন মুখ বুজে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার? একের পর এক রিপোর্ট, একের পর এক ঘটনা তাদের সামনে উপস্থাপিত করা হলেও, তারা কেন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সেরকম কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না? এতদিন এই প্রশ্ন বিজেপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ছিল। তবে এবার প্রকাশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কে বা নিজের দল সম্পর্কে, যারা ভারতবর্ষ পরিচালনা করছে, তাদের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলী। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে যখন বারবার করে প্রশ্ন উঠছে, তখন কেন পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করা হবে না, সেই ব্যাপারে তিনি যে মন্তব্য করলেন, তাতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
প্রসঙ্গত, বাংলায় বর্তমানে যে অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে বঙ্গ বিজেপির যারা নেতাকর্মীরা রয়েছেন, তাদের অনেকের মধ্যেই তৈরি হয়েছে অসন্তোষের আবহ। সকলের মধ্যে একটাই প্রশ্ন যে, তারা তো লড়াই দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বিজেপি চাইছে তো যে, পশ্চিমবঙ্গের পরিবর্তন হোক! কেননা এই রাজ্যের বুকে একের পর এক ঘটনা ঘটে গেলেও, বিজেপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা হলেও, এমনকি জন প্রতিনিধিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটলেও, কেন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না? স্বাভাবিকভাবেই তো এই প্রশ্ন উঠবে যে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে নরম মনোভাব পোষণ করছে! এখানে নেতাকর্মীরা মার খাবে, আর তারা চুপচাপ বসে থাকবেন, এটা কি করে হতে পারে? আর সেই কথাই তুলে ধরে এবার বাংলায় ৩৫৫ জারি না করা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে অভিজিৎবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের অ্যাকশন দেখে আমার মনে হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গের এই যে পরিস্থিতি, তাকে বদল করতে চায় না। কেন্দ্রীয় সরকার যদি পরিস্থিতি বদল করতে না চায়, তাহলে সেই বদল হবে না। কেন যে পশ্চিমবঙ্গের মত একটা শাসনহীন, প্রশাসন হীন রাজ্যে অন্তত 355 ধারা জারি করা হবে না, সেটা তো আমার কাছে একটা বিরাট প্রশ্ন।” অর্থাৎ ঘুরিয়ে নিজের দলের দিকেই অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় রীতিমত অসন্তোষ প্রকাশ করলেন হেভিওয়েট বিজেপি সাংসদ। স্বাভাবিকভাবেই ২৬ এর নির্বাচনের আগে নিজের দলের সাংসদের এই ধরনের অসন্তোষ কিভাবে সামাল দেয় বিজেপি, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।