প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কথায় আছে, অন্যায় ভাবে কোনো কাজ করলে তা বেশিদিন স্থায়িত্ব লাভ করে না। যেমনটা বাংলাদেশের মহম্মদ ইউনুস করেছিলেন। ভেবেছিলেন, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবেন, আর যেভাবেই হোক, নির্বাচনকে এড়িয়ে যাবেন। কিন্তু না, এবার সেই দেশের সেনাপ্রধানই কড়া বার্তা দিয়ে ইউনুস সরকারকে বুঝিয়ে দিলেন, অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই নির্বাচন হলে যে ইউনুসের ক্ষমতায় থাকা কোনমতেই সম্ভব হবে না, তা বুঝতে পেরেই এখন কার্যত থরহরিকম্প শুরু হয়েছে বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসনের অন্দরে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ইউনুস প্রশাসনের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এদিন তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।” একাংশ বলছেন হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে যে অন্তর্ভুক্তি সরকার গঠন হয়েছিল তাদের একমাত্র দায়িত্ব ছিল জাতীয় নির্বাচন করানো। কিন্তু বারবার করে তা এড়িয়ে গিয়ে ক্ষমতা দখল করাই একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউনুসের কাছে। তাই এবার তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্যের কথা মনে করিয়ে দিয়ে সেই দেশের সেনাপ্রধানই ইউনুসকে সব থেকে বড় ধাক্কাটা দিয়ে দিলেন।
তবে শুধু জাতীয় নির্বাচন করানোর দাবিই নয়, মায়ানমারের রাখাইনে মানবিক নিয়ম ইউনূসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। সেক্ষেত্রে এই ব্যাপারে নির্বাচিত সরকারই একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে সব ব্যাপারে নাক গলানোর চেষ্টা করতে চাইলেও, ইউনুসের বারোটা বাজিয়ে এবার সেই দেশের সেনা প্রধানের এই বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেকটাই বদল আনতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইউনূসের কাছে আর কোনো উপায় নেই। এবার তাকে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতেই হবে। আর তিনি যদি তা না করেন, তাহলে তার সরকারকে উৎখাত করতে জনতার গনতান্ত্রিক বিদ্রোহ যে আকার নেবে, তা আর সামাল দেওয়ার মত পরিস্থিতি থাকবে না ইউনুসের কাছে। তাই সময় থাকতেই শুভ বুদ্ধি হলে ভালো, না হলে অসম্মান জনক পতন অপেক্ষা করছে ইউনুসের জন্য। বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারির পরে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।