প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলতে যে আর কিছু নেই, পুলিশ যে দলদাসের ভূমিকা পালন করছে প্রতিমুহূর্তে, সেই ব্যাপারে প্রতিনিয়ত সোচ্চার হন বিজেপি নেতারা। কিন্তু এবার চোখের সামনে যে ঘটনা ঘটে গেল, তারপর প্রশ্ন উঠছে যে, সত্যিই কি এই কাজ যদি কোনো সাধারণ মানুষ করতেন, যদি কোনো বিরোধী নেতারা করতেন, তাহলে কি পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে কথা বলতো? তাহলে শুধুমাত্র তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি বলেই কি তিনি আইন হাতে তুলে নিতে পারেন? তার জন্যই কি সাত খুন মাফ? এই প্রশ্ন ওঠার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।
এই রাজ্যের বুকে তৃণমূল নেতারা হাজার অন্যায় করলেও, তাদের ছেড়ে রাখা হয়। এমনকি বীরভূমের এক দাপুটে তৃণমূল নেতা পুলিশের মা, বউ তুলে গালিগালাজ করার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয় না। এই দৃশ্য ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের এই ধরনের ভূমিকা সাধারণ মানুষের মধ্যেও তুলে দিয়েছে প্রশ্ন। আর এবার হাওড়ায় বাঁকড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানকে সংবর্ধনা সভায় যেভাবে বন্দুক উপহার দেওয়া হলো, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে সংবর্ধনা দিতে গিয়ে বন্দুক উপহার দিলেন কিছু তৃণমূল কর্মী এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আর এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, এইভাবে কি আইন হাতে তুলে নেওয়া যায়? এরপরেও কেন পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে না?
এদিকে বিতর্ক যখন ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে, ঠিক তখনই সাফাই দিয়েছেন তৃণমূলের সেই পঞ্চায়েত প্রধান। তার বক্তব্য, এটা খেলনা বন্দুক। তবে গোটা ঘটনাটা যে খুব একটা ঠিক হয়নি, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। অন্য দিকে পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে, এটা নাকি খেলনা বন্দুক ছিলো। কিন্তু এই কাজই যদি বিজেপি বা বিরোধী দলের কোনো নেতারা করতেন, তাহলে কি পুলিশ তাদেরকে ছেড়ে কথা বলতেন? মঞ্চ থেকেই হয়ত তাদের গ্রেপ্তার করে নিতেন। কিন্তু শুধুমাত্র তৃণমূলের নেতা বলেই কি ছাড় দেওয়া হলো? প্রশ্ন উঠছে বিরোধীদের মধ্য থেকেই। আর নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনায় যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল ঘাসফুল শিবির, সেই ব্যাপারেও নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।