প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআরের আতঙ্কে তৃণমূল এখন ঠিক থাকতে পারছে না। তাদের নেতা-নেত্রীরা প্রথম থেকেই দাবি করেছিল যে, এসআইআর কোনোমতেই পশ্চিমবঙ্গে হতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই এসআইআর তৃণমূল গিলে ফেলেছে বলেই খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই এসআইআর হয়ে যাওয়ার পর জেলায় জেলায় তৃণমূলের বিভিন্ন নেতারা বিজেপির উদ্দেশ্যে হুমকি, হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। যেমন, বর্ধমানেরই এক তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়া হবে বলে রীতিমত বিতর্কের মুখে পড়ে গিয়েছিলেন। আর আজ সেই বর্ধমানের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার ডাকে মেমারির সভা থেকে সেই তৃণমূল বিধায়ককে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের প্রক্রিয়া যে গতিতে চলছে, তা দেখে যে তৃণমূল অত্যন্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কমিশনে দেওয়া চিঠিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কেননা সীমান্তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রচুর বাংলাদেশীরা, যারা এতদিন পশ্চিমবঙ্গে ছিলেন, তারা এখন বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগীব হয়ে পড়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই এই চিত্র প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি দাবি করছে যে, তারা এতদিন বলেছিলেন, বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়েছে তৃণমূল, এসআইআর হওয়ার পর তারা যেভাবে ফিরে যাচ্ছে, এই চিত্র সামনে আসার পরেই তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গে ঠিক কত অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ছিলো। আর এসবের মধ্যেই আজ বর্ধমানের সভা থেকে কিছুদিন আগে বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বিজেপি কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়ার যে হুমকি দিয়েছিলেন, তাতে এবার তার ক্ষমতা দেখতে চাইলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন বর্ধমানের কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত মেমারিতে বিজেপির পক্ষ থেকে পরিবর্তন সংকল্প সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসআইআর নিয়ে তৃণমূল প্রথম দিকে অনেক ধমক, চমক দিলেও, এখন যে সেই সমস্ত কিছুই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, সেই কথা উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক কিছুদিন আগে যেভাবে বিজেপিকে জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, সেই বিষয়ে নিশীথ মালিকের উদ্দেশ্যে শুভেন্দুবাবু বলেন, “এখানে বর্ধমানের একটা এমএলএ আছে, বালি চোর। নিশীথ মালিক। বলে, বিজেপিকে দেখলে জ্বালিয়ে দেব। নিশীথ মালিক, কবে আসতে হবে তোমার বাড়ির সামনে, বলো। সিকিউরিটি ছাড়া আসব। তুমি যদি জ্বালাতে পারো, তাহলে বলব, তোমার বাপের নাম ঠিক আছে। এসব ধমক, চমক দিয়ে লাভ নেই।”