প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-

দুর্নীতি নিয়ে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূলের। সামনেই ভোট নিজেদের ভাবমূর্তি ঠিক করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া হুঁশিয়ারি রয়েছে কাটমানি নিয়ে । যদিও বিরোধীদের দাবি এগুলো সম্পূর্ণ ভাঁওতা, সামনে এক পিছনে এক। কিন্তু তবুও জনসমক্ষে মমতার হুঁশিয়ারি মানতে নারাজ তৃণমূলের লোকজন। এবার কাটমানিকেই নিজের ‘হক’ বলে মনে করেছেন এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। অভিযোগ, বাংলা আবাস যোজনার টাকা থেকে ‘আবদার’ করে সেই কাটমানি উপভোক্তার কাছ থেকে আদায়ও করেছেন তিনি। টাকার জন্য চাপ দিয়ে কথপোকথনের সেই অডিয়ো ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।

পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার বরমপুর গ্রামে বাংলা আবাস যোজনার অর্থ থেকে ‘কাটমানি’ আদায়ের অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ এনেছেন এক উপভোক্তা। অভিযোগ, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পরই তাঁকে ৫ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ দিতে হয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা আসার পর ফের দাবি করা হয় ৬ হাজার টাকা। সেই দাবির অডিও রেকর্ড সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যদিও তার সত্যতা এখনও যাচাই হয়নি।

অভিযোগকারী চাঁদু দাস পেশায় একজন দিনমজুর এবং বরমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত সদস্যা ভরি দাসের স্বামী সঞ্জয় দাস নিয়মিত টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এমনকি, সঞ্জয় নিজের ছেলের মোবাইল থেকে ফোন করে দাবি করেন, “অফিসে ৬ হাজার টাকা লাগবে”। তিনি দাবি করেন, আগের টাকাও ‘পার্টি ফান্ড’-এ গিয়েছিল। যদিও চাঁদু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, সরকারি কর্মীরা যখন বাড়ির ছবি তুলতে এসেছিলেন, তাঁরা কোনো টাকা চাননি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সঞ্জয় দাস বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। তাঁর দাবি, চাঁদু তাঁর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন, এবং পুজোর আগে সেই টাকা ফেরত চেয়েছেন বলেই ফোন করেছিলেন। তাঁর মতে, এটা চাঁদুর অপপ্রচার এবং এর সঙ্গে বাংলা আবাস যোজনার কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে বিডিও ইন্দ্রজিৎ মারিক জানিয়েছেন, এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ হাতে পাননি, তবে অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহারও জানিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ না এলেও প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আলমপুর পঞ্চায়েতে বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তি পেয়েছেন ২১৬ জন এবং দ্বিতীয় কিস্তি পেয়েছেন ২০৫ জন উপভোক্তা