এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার অনুপ্রেরণায় বুক চিতিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রয়াত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা

মমতার অনুপ্রেরণায় বুক চিতিয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রয়াত প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -” এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ
মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দেন।”
রাজ্য, তথা দেশ জুড়ে চলছে করোনার ভয়াবহ তান্ডব। যা থেকে সাধারণ মানুষ তো বটেই ছাড় মিলছে না সমাজের গন্যিমান্যিদেরও। করোনা দানবের অদৃশ্য থাবায় প্রাণ হারালেন বিধাননগরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দাপুটে ও কর্মযোগী তৃণমূল কাউন্সিলর সুভাষ বসু। করোনার সঙ্গে অসম যুদ্ধে একেবারে সামনের সরিয়ে লড়াই করা লড়াকু কাউন্সিলারের মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এলো সমগ্র বিধান নগর এলাকায়।

রাজ্যে তথা দেশে গত মার্চ মাসের শেষদিকে থেকে করোনা সংক্রমণ রুখতে জারি করা হয় সম্পূর্ণ লকডাউন। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বেশিরভাগ জগগন যখন নিজেদের গৃহ কারাগারে সম্পূর্ণ বন্দি করে রেখেছিলেন, সেই সময়ে নিজের জীবন তুচ্ছ করে পথের মাঝে নেমেছিলেন কাউন্সিলার সুভাষ বসু। কখনও তিনি করোনা সচেতনতা বৃদ্ধির কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন , কখনো বা দুর্গত মানুষের হাতে পৌঁছে দিয়েছেন প্রয়োজনের ক্ষুধান্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মানুষের পশে দাঁড়াতে গিয়ে নিজের অজান্তে নিজের শরীরেই যে তিনি করোনার বিষ এনে ফেলেছিলেন সেকথা তিনি নিজেও জানতে পারেননি। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ সে জুলাই তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও আরও বহু উপসর্গের কারণে তাঁকে নিকটস্থ একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় তাঁর লালারস পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট আসে পসিটিভ। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় তাঁর করোনার চিকিৎসা। কিন্তু চিকিৎসকের সমস্ত প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে আজ বুধবার সকালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন।

জনদরদী, কর্মযোগী, লোকপ্রিয় এই কাউন্সিলারের মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।অন্যদিকে, হাওড়ার শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের শাসকদলের বিধায়ক জটু লাহিড়ীর করোনা রিপোর্ট পসিটিভ এসেছে। গত সোমবার তাঁর দেহে রক্তচাপের সমস্যা হঠাৎ দেখা দিলে তাঁকে হাসপালে ভতি করা হয়েছিল। গতকাল তাঁর লালারসের রিপোর্ট পসিটিভ এসেছে। করোনার চিকিৎসার কারণে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। সম্প্রতি তাঁর শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে আস্বস্থ করেছেন চিকিৎসকেরা।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ সে জুলাই রাজ্য কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রর মৃত্যুদিনে সোমেন বাবুকে শেষ শদ্ধা জানাতে তাঁর মৃতদেহ বিধানসভায় আনা হয়েছিল। সোমেন বাবুকে শেষ শদ্ধা অর্পণ করতে সেদিন বিধানসভায় গেছিলেন জটু বাবু । সেদিন বিধানসভায় থাকার সময়েই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জটু বাবু। তারপেরই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সম্প্রতি তিনি করোনা আক্রান্ত। একারণে জটু বাবুর সংস্পর্শে আসা সকলকে ইতিমধ্যে রাখা হয়েছে হোম আইসোলেশন, প্রয়োজনে তাদেরও করা হবে লালারস পরীক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!