প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল সরকারের আমলে অনেকেই দুর্নীতির কারণে জেলে গিয়েছেন। অনেকে জামিন পেলেও এখনও অনেক হেভিওয়েট জেলের মধ্যে রয়েছেন। যাদের ভবিষ্যৎ কি হবে, কেউ জানেন না। বিরোধীরা দাবি করছেন, দুর্নীতি করে এই রাজ্যে কেউ রেহাই পাবে না। যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করেছে, মানুষের টাকা লুট করেছে, মা-বোনেদের ইজ্জত নষ্ট করেছে, তাদের এবার দুঃসময় ঘনিয়ে এসেছে। এবার সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার শেখ শাহজাহান, যিনি বর্তমানে জেলে রয়েছেন, তাকে নিয়েই ভয়ংকর মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বলা বাহুল্য, একসময় এই সন্দেশখালির ন্যাজাটে তিনজন হিন্দুকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই ঘটনার এক বছর পূরণের দিনেই সেখানে গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেই সভা থেকেই সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান, যার বিরুদ্ধে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠেছিল, মহিলাদের রাতে ডেকে পিঠে বানানোর মত ভয়ংকর অভিযোগ শোনা গিয়েছিল, তার সম্পর্কেই তিনি মারাত্মক দাবি করে বসেন। শুভেন্দুবাবু দাবি করেন যে, বর্তমানে গরমের ছুটি চলছে। আর গরমের ছুটির পরেই যখন কলকাতা হাইকোর্ট খুলবে, তখন এই ঘটনায় যারা খুনি তাদের ফাঁসির আবেদন করা হবে কলকাতা হাইকোর্টে।
ঠিক কি বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী? এদিন কানমারির ভারত সেবাশ্রম সংঘের মাঠের সভা থেকে তিনি বলেন, “হাইকোর্ট খুলছে, গরমের ছুটির পরে। আমরা আশা করব যে, বিচারের বাণী নিশ্চিত ভাবে জাগ্রত হবে। আমরা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, কাদের মোল্লা সহ সমস্ত খুনিদের কোনো ভেতরের কথা নয়, যাতে ফাঁসি হয়, তার আবেদন করব। নিশ্চিন্তে থাকুন, শাহজাহানের দাদাগিরি অতীত করেছি, অতীতই থাকবে। কাদের মোল্লা তুমি যে গর্তেই থাকো না কেন, তোমাকে টেনে বের করে আইনের সাজা দেব।”
পর্যবেক্ষকদের মতে, একসময় এই সন্দেশখালিতে বিরোধীরা পা রাখতে পারত না। কিন্তু শেখ শাহজাহানের করুণ পরিণতি হওয়ার পর এখন নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করছে বিরোধী শিবির। এর আগেও শুভেন্দু অধিকারী সেখানে গিয়ে যে শেখ শাহজাহান তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন, সেই শেখ শাহজাহানের বাহিনী সহ তাকে মুখের মত জবাব দিয়ে এসেছেন। আর এবার ন্যাজাটে যে তিনজন হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল, সেই ঘটনার শেষ দেখতে চেয়ে বড় পদক্ষেপের হুশিয়ারি দিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এর মধ্যে দিয়ে রাজ্যের হিন্দু ভোট ব্যাংক আরও নিজের দিকে আনার চেষ্টা যেমন তিনি করলেন, ঠিক তেমনই হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে এই বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা করলেন শুভেন্দুবাবু যে, তিনি থাকতে হিন্দুদের প্রতি আর অত্যাচার হবে না। আর যদিও বা কেউ অত্যাচার করতে আসে, তাহলে তার জন্য যে করুন পরিণতি অপেক্ষা করছে, তা এই ছোট্ট মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এখন শুভেন্দু অধিকারী মুখে যা বললেন, তিনজন হিন্দুকে পিটিয়ে খুন করার ঘটনায় যারা জড়িত বাস্তবে তাদেরকে শিক্ষা দিতে গরমের ছুটির পর আদালত খুললে কি স্টেপ নিতে চলেছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক, সেদিকেই নজর থাকবে গোটা রাজ্যবাসীর।