প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে নতুন করে এসএসসি পরীক্ষা হয়েছে। যার ফলে অনেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, এবার হয়ত দুর্নীতির বাইরে বেরিয়ে এসে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে। কিন্তু ভেরিফিকেশনে যাদের ডাকা হয়েছে, এক্ষেত্রেও অনেক অযোগ্যরা ডাক পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠছে। যার ফলে চাকরি হারা যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশ প্রতিবাদ শুরু করেছে। এমনকি পরীক্ষা দিয়ে পুরো নম্বর পাওয়ার পরেও কেন তারা ডাক পাননি, তা নিয়েও অনেক নয়া পরীক্ষার্থীও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে প্রথম থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কোনো স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া হবে না। আর যখন আবার নতুন করে এসএসসির এই নয়া প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন যে, মমতা ব্যানার্জি যতদিন আছেন, ততদিন বাইরের রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়েই কাজ করতে হবে এখানকার বেকার যুবকদের।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর এই রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, এসএসসিতে কতটা দুর্নীতি হয়েছে। তবে আবার আদালতের নির্দেশে যখন নতুন করে পরীক্ষা হয়েছে, তখন সকলেই আশা করেছিলেন যে, এবার হয়ত স্বচ্ছতা সহকারে গোটা প্রক্রিয়া হবে। কিন্তু বর্তমানে আবার সেই ইন্টারভিউ শুরুর আগেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফের রাস্তায় নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাদের বক্তব্য, অনেক অযোগ্যদের ইন্টারভিউতে ডাকা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার এবং মমতা ব্যানার্জির আমলে যে কোনো চাকরি কারও হবে না, তা আবারও স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই এসএসসির ভূমিকা নিয়ে যখন সকলে আবার পথে নামছেন, তা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “মমতা ব্যানার্জি চাকরি দেবে না, এটা সবাই জেনে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতেই আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হয়ে যাবে। নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহের দিকে আমরা যাচ্ছি। অর্থাৎ আর দুটো মাস রয়েছে। অতএব এসব ছেড়ে দিন। দুই কোটি বেকার যুবক-যুবতী জেনে গিয়েছে, মমতা ব্যানার্জি থাকলে ওদের চাকরি হবে না। এক লক্ষের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক এবং বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করা লোক জেনে গিয়েছে যে, মমতা যতদিন আছে, আমাদের বাড়ির ভাত খাওয়া হবে না।”