প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর। আগামী ৪ তারিখ থেকে বিএলওরা বাড়ি বাড়ি যাওয়া শুরু করবেন। তবে এই এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে সব থেকে বেশি আতঙ্কে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা তাদের নেতা-নেত্রীরা প্রতিনিয়ত এসআইআরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন। আর মানুষকে ভুল বোঝানোই যে তৃণমূলের একমাত্র লক্ষ্য, এসআইআরের বিরুদ্ধে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই প্রক্রিয়াকে আটকে অবৈধ ভোটারদের নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কে রাখাই যে তৃণমূলের টার্গেট, তা এবার স্পষ্ট হয়ে গেল এক তৃণমূল নেতার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। অন্তত তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এসআইআর নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে চর্চা চলছে, যখন বেশ কিছু রাজ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে, তখন একমাত্র পশ্চিমবঙ্গে এই ব্যাপারে বিরোধিতা শুরু করেছে এখানকার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস‌। আগামী সপ্তাহেই এসআইআরের বিরোধিতায় পথে নামতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাদের এই অযাচিত বিরোধীতার কারণ কি, তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। বিরোধীদের যুক্তি, তৃণমূল খুব ভালো মতই জানে, এসআইআর হলে অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ গেলে তাদের ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরবে জন্যেই তারা এই এসআইআরের বিরোধিতা করছে। আর বিরোধীদের এই দাবি যে কিছুটা হলেও ঠিক, তা এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহিলাদের মধ্যে ভয় ঢোকানোর যে বার্তা এক তৃণমূল নেতা দিলেন, তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই মনে করছেন একাংশ।

এদিন বামনগাছিতে রক্তদান শিবিরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তাপস দাশগুপ্ত। আর সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। তাপসবাবু বলেন, “ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটা গেলে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অঞ্চলের প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের মহিলা সদস্যদের মধ্যে এই ভয় ঢুকিয়ে দিতে হবে। লোকের রান্নাঘরে ঢুকে গল্পের মধ্যেই তুলতে হবে ভোটার তালিকার প্রসঙ্গ। সেই সঙ্গে বিএলওদের পিছনেও লাগতে হবে।” আর তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের ফলেই বিরোধীরা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে যে, এসআইআর প্রক্রিয়াকে যেভাবেই হোক, বাধাদান করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাদের গোপন পরিকল্পনা যে মানুষকে ভয় দেখানো এবং বিএলওদের কাজে বাধা দেওয়া, তা তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।