প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অপারেশন সিঁদুর চালিয়ে ভারত যেভাবে পাকিস্তানকে জবাব দিয়েছে, তারপর বাইরে বাইরে পাকিস্তান গোটা বিশ্বের কাছে দেখানোর চেষ্টা করেছিল যে, তাদের ভারত কোনোই ক্ষতি করতে পারেনি। উল্টে তারাই নাকি ভারতের ক্ষতি করে দিয়েছে। কিন্তু একমাত্র ভারত এবং পাকিস্তান, এই দুই দেশই জানে, কারা কাদের সব থেকে বেশি ক্ষতি করেছে! তবে সত্য বেশি দিন চাপা থাকে না। তাই এবার নিজেদের অসহায়ত্বের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে ভারতের সামরিক শক্তির কাছে কি মাথা নত করতে বাধ্য হলো পাকিস্তান? ইতিমধ্যেই যে তথ্য উঠে আসছে, তা অত্যন্ত ভয়াবহ। কিন্তু কি সেই তথ্য?
জানা গিয়েছে, অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত পাকিস্তানের যে প্রত্যাঘ্যাত চালিয়েছিল এবং তাতে যে পাকিস্তানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, এবার তা মেনে নিলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইশাক দার। তিনি বলেন, “পাকিস্তানও ভারতকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু তার আগেই ভারত আঘাত এনেছে। ভারতের হানার ৪৫ মিনিটের মধ্যেই সৌদি যুবরাজ ফয়সল বিন সলমন ফোন করে আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কি জয়শঙ্করকে বলব, পাকিস্তান থেমে যেতে চাইছে?” অর্থাৎ পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ভারতের পক্ষ থেকে যে আঘাত পাকিস্তানে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাতে তারা এতটাই বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত সৌদি আরবের পক্ষ থেকেও মধ্যস্থতা করে যাতে ভারত এই প্রত্যাঘাত থামিয়ে দেয়, তার জন্য চেষ্টার একটা বার্তা এসেছিল। তবে পাকিস্তানের উপ প্রধানমন্ত্রী শুধু নয়, এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতের মিসাইলে পাকিস্তানের একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি যেভাবে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়েছিলেন।
স্বাভাবিকভাবেই যত দিন যাচ্ছে, ততই একটা বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, ভারত সামরিকভাবে কতটা শক্তিশালী এবং ভারতের এই সামরিক শক্তির কাছে পাকিস্তান অপারেশন সিঁদুরে কতটা বিধ্বস্ত হয়েছে! তাই প্রথমদিকে ভারতের আঘাতে তাদের কিছু হয়নি বলে বড় বড় গলায় দাবি করা পাকিস্তানের নেতারা এখন ঘরের ভেতরে ঢুকে গিয়েছেন। তাদের মিথ্যে কথা সামনে চলে এসেছে। কারণ পাকিস্তান সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং উপ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ক্রমশ স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, তারা ভারতের কাছে, ভারতের সামরিক শক্তির কাছে মাথা নত করতে বাধ্য।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত এতটাই জোরালো ভাবে পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাত করেছিল এবং শিক্ষা দিয়েছিল যে, তারপর রীতিমত থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছিল পাকিস্তান। তাদের পক্ষ থেকে ফোন করে সংঘর্ষ বিরতির জন্য ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়। তবে পাকিস্তানকে কোনোমতেই বিশ্বাস করতে পারছিল না ভারত। পরবর্তীতে অবশ্য দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও পাকিস্থান তা লংঘন করে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে যে পাকিস্থান মুখে বড় বড় কথা বলে, তারা দেখানোর চেষ্টা করে যে, তারা ভারতের থেকেও সামরিক দিক থেকে অত্যন্ত শক্তিশালী। তাদের সেই সমস্ত মুখং মারিতং জগত ভেস্তে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল যে, পাকিস্তান শুধু সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয় না, তারা প্রচন্ড মিথ্যাচারকেও আশ্রয় করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।