প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সব সময় কি রাজনৈতিক কুটকচালিই চিন্তা করেন? তিনি যে একটি রাজ্যের প্রশাসনিক পদে আছেন, তাকে যে বুঝে শুনে কথা বলতে হয়, সেটা কি তিনি নিজেও জানেন না? আমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দুর্ঘটনা তো বলে কয়ে আসে না। কিন্তু সেখানেও কি রাজনীতি করার এবার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই প্রশ্ন হঠাৎ করে কেন তোলা হচ্ছে? এর পেছনে আজকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠক একটা বড় কারণ বলেই মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

 

বলা বাহুল্য, এদিন নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তিনি সাংবাদিক বৈঠক করা মানেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক কথা সামনে আসবে, এটা রাজ্যের মানুষের মুখস্ত হয়ে গিয়েছে। আর সেখানেই তিনি সম্প্রতি আমেদাবাদে যে বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে, যেভাবে প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে, তা নিয়ে মুখ খোলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কোনো ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু আমেদাবাদ-লন্ডনের বিমানে যে দুর্ঘটনা হয়েছে, কাদের দিয়ে তদন্ত করাচ্ছেন? আমলাদের দিয়ে। আমি যতদূর জানি, আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম সেফটি রিভিউ কমিটি থাকত একটা। সিভিল এভিয়েশনের ক্ষেত্রেও আছে। আজ পর্যন্ত একটা এফআইআর হলো না। মানে, মানুষের জীবনের কোনো দাম নেই! একবারও ভেবেছেন?” আর মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।

 

বিরোধীদের বক্তব্য, সব সময় ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা তো বলে কয়ে আসে না। তার সরকারের আমলে তিনি বাংলায় যে সমস্ত ইচ্ছাকৃত ভুলগুলো করছেন, যেভাবে বেকারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, তাতে তিনি কি এর দায় নেবেন? তিনি সেই সমস্ত দায় না নিয়ে উল্টে একটা দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে হবে, তাই সেখানে প্রশ্ন তুলে তিনি রেলমন্ত্রী থাকার সময় কি ছিল, কি ছিল না, তা নিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী থাকার সময় শুধুমাত্র গোটা রেলকে যে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন, তা গোটা দেশের মানুষ জানে। আর এখন না বুঝে, না শুনে শুধুমাত্র কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার চেষ্টা করে বিমান দুর্ঘটনার মত স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে যা ইচ্ছে তাই বলে “গায়ে মানে না আপনি মোড়ল”, এরকম একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা শুরু করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এই সমস্ত কিছু মুখ্যমন্ত্রীর ভাবমূর্তিকে তো প্রশ্নের মুখে ফেলছেই, পাশাপাশি বাংলাকেও গোটা দেশের সামনে হাস্যাস্পদ পদ করে তুলছে বলেই দাবি বিরোধীদের।