এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > হাতে মাত্র একদিন, শুভেন্দুর বিদ্যুৎবানে কুপোকাত মমতা! অপেক্ষায় রাজ্যবাসী!

হাতে মাত্র একদিন, শুভেন্দুর বিদ্যুৎবানে কুপোকাত মমতা! অপেক্ষায় রাজ্যবাসী!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিগত বাম আমলে মাঝেমধ্যেই লোডশেডিং যাওয়া নিয়ে সরকারকে কটাক্ষ করতেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা বিষয় নিয়ে আন্দোলন করতেও দেখা যেত তাকে। তবে তিনি এবং তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই লোডশেডিংয়ের প্রবণতা রাজ্য থেকে উঠে গিয়েছে বলে বড়াই করতে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসকে। কিন্তু সেই বড়াই বেশি দিন টিকলো না। ভাদ্রের প্যাচপ্যাচে গরমের মধ্যে দিন এবং রাত্রি মিলিয়ে পাঁচ ছয় ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং সহ্য করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

বিরোধীদের অভিযোগ, যে রাজ্যে শিল্প নেই, সেখানে কয়লার ঘাটতি হচ্ছে কোথা থেকে? তবে প্রবল গরমে লোডশেডিংয়ের এই অসহ্য যন্ত্রণা থেকে রাজ্যবাসীকে বাঁচানোর রাস্তা সরকার কতটা খুঁজছে, তা জানা নেই। তবে সরকারকে চাপে রেখে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে এবার আন্দোলনের রাস্তায় হাঁটতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার স্পষ্ট হুশিয়ারি, যদি রবিবার পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হয়, তাহলে সোমবার থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তিনি আন্দোলনে নামবেন।

প্রসঙ্গত, এদিন প্রবল লোডশেডিংয়ের পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধ করে প্রতিবাদ করেন সাধারণ মানুষরা। আর সেই ব্যাপারেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আমার তো তেমন কিছু করার নেই। আমি তো দায়িত্বে নেই যে, সমস্যার সমাধান করে দেব। কিন্তু আমার যতটুকু করার আছে, আমাদের বিরোধী বিধায়করা মিলে সেই কাজ করব। রবিবার পর্যন্ত দেখব। পরিস্থিতির সমাধান না হলে সোমবার থেকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনে নামব।” অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীর বিদ্যুৎবাণে যে সোমবার থেকেই কাবু হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এখন প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারীর এই আন্দোলনে কি আদৌ কোনো কাজ হবে? প্যাচপ্যাচে গরমে যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে, তা থেকে কি মুক্তি পাবেন সাধারণ মানুষ! বিরোধীদের দাবি, কি করবে, তা তো সরকার বাহাদুর জানেন। তবে সরকারকে চাপে রেখে মানুষের কথা তুলে ধরাই যে বিরোধী দলনেতার কাজ, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার দাবি, আগে রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল 1200 মেগাওয়াট। আর এখন সেই ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে 2500 মেগাওয়াট।

বিশেষজ্ঞদের মতে, যেখানে রাজ্যে শিল্প নেই, কলকারখানা নেই, সেখানে এত বিদ্যুতের ঘাটতি হচ্ছে কোথা থেকে! প্রশ্ন করতে গেলেই বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলছেন, পুজোর প্রস্তুতি চলছে। তবে পুজোর প্রস্তুতি গভীর রাতে কি করে চলে! সেই প্রশ্ন তুলে পাল্টা সরকারের কাছে উত্তর জানতে চেয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাই এতকিছুর মধ্যে মানুষের যখন প্রবল অসুবিধে হচ্ছে, যখন হাসপাতাল ছাড়া গভীর রাতে আর কোথাও বিদ্যুৎ থাকছে না, তখন মানুষের দাবি নিয়েই পথে নামতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এখন দেখার বিষয়, এই হুশিয়ারিতে সরকার বাহাদুর কতটা সজাগ হন! নাকি রাজ্যের মানুষকে লোডশেডিংয়ের অন্ধকারে রেখে গভীর নিদ্রায় মগ্ন থাকেন নবান্নের কর্তারা! তবে সেই নিদ্রা যদি না ভাঙ্গে, তাহলে সোমবার থেকে তা ভাঙ্গাতে আসরে নেমে যে তুলকালাম বাধিয়ে দিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী, তা একপ্রকার নিশ্চিত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!